• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সরকারে মহা সংকটে মন্ত্রী মায়া -দুর্নীতির ১৩ বছর দণ্ড বহাল


প্রকাশিত: ৩:১৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

সুপ্রীমকোর্ট রিপোর্টার  :  হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে সুপ্রিমকোর্টের দেয়া আদেশ Maya-www.jatirkhantha.com.bdপুনর্বিবেচনা চেয়ে সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এতে হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল হওয়ায় সম্পদের হিসাব সংক্রান্ত মামলায় মায়াকে বিশেষ আদালতে ১৩ বছরের দণ্ড বহাল রইল। ২০০৭ সালে জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় এ দণ্ড দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে মায়া হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্টে নিম্ন আদালতে সাজা বাতিল করে এ রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।

২০১৫ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে রায় দেয়। একই সঙ্গে মায়ার আপিলের বিষয়বস্তুর ওপর পুনঃশুনানির জন্য নির্দেশ দেয়। এ আপিল পুনঃশুনানির আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ করেন মায়া। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেত মজুমদার ও দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়। এরপরে মায়াকে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানিতে অংশ নিতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে তিনি এ ব্যাপারে জানাবেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার দায়ে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০০৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী।

২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। গত ১৪ জুন আপিল বিভাগ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন মায়। আজ তা খারিজ করে দেওয়া হয়।

সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৩ জুন রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী, দুই ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী এবং সাজেদুলের স্ত্রী সুবর্ণা চৌধুরীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ৫ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করে ৬ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত মায়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেও মামলার বাকি আসামিদের খালাস দেন।