• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারের সাথে গোপন সমঝোতায় জামায়াত-


প্রকাশিত: ১২:১২ এএম, ২৩ মে ১৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার:২২ মে ২০১৪:

 

বিএনপি-জামায়াতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে এখন আস্তে করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সন্দেহ-সংশয় আর অযাচিত বক্তব্যই মূলত এই ফাটলের মূল কারণ।

যদিও জামায়াতের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিবৃতির মাধ্যমে বলছে যে, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে কোন প্রকার দুরত্ব সৃষ্টি হয়নি। জোটের মধ্যে সমন্বয় আছে এবং থাকবে বলা হলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে বিএনপির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে এটা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি নেতাদের খোঁজে পাওয়া না গেলেও জোটের শরীক জামায়াতকে নিয়ে সমালোচনায় তারা পিছিয়ে নেই। জামায়াত রাজপথে আন্দোলন করলে বলে সহিংসতা আর নীরব থাকলে বলে সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা। বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যে এখন উভয় সংকটে পড়েছে জামায়াত।

১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতের তৎকালীন আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুজাম্মদ এরশাদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আজিজুল হকের মধ্যে এক লিখিত চুক্তির মাধ্যমে চারদলীয় ঐক্যজোটের যাত্রা শুরু হয়। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এরশাদ ডিগবাজি করে জোট থেকে বেরিয়ে এসে চরমোনাইর তৎকালীন পীর মাওলানা ফজলুল করিমকে নিয়ে স্বতন্ত্র জোট গঠন করে।

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট বিশাল বিজয় নিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট বিশাল বিজয় নিয়ে তারাও কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চারদলীয় জোট রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়েই তাদের দ্বীর্ঘদিনের ঐক্যে চির ধরতে শুরু করে। আওয়ামীলীগের পাঁঁচ বছর শাসনামলে বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী কোন জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণার পরই বিএনপি নেতারা চলে যেতেন কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে। জামায়াত-শিবির মাঠে থাকলেও বিএনপির কোন নেতার দেখা মিলতো না। সরকার পতনের লক্ষ্যে বেশ কিচু কর্মসূচী ঘোষণা করেও তারা সফল হয়নি।

বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘোষণার পরও মাঠে নামেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা। এমনকি অবরুদ্ধ দলের চেয়ারপার্সনকে উদ্ধার করার জন্যও তারা এগিয়ে আসেনি। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতার্মীদের মধ্যেও দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি নেতাদের পিছুটান দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত-শিবিরও।

৫ জানুয়ারির আওয়ামী লীগের এক তরফা নির্বাচনকে ঘিরে দেশে ঘটেছে মারত্মক সহিংস ঘটনা। এই সহিংস ঘটনার জন্য সরকার আর আন্তর্জাতিক মহলের মত বিএনপি নেতারাও আকার-ইঙ্গিতে দায়ভার জামায়াত-শিবিরের উপর চাপানোর চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে শুরু হয় মৌন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ প্রকাশ্যে রুপ নেয়ার আগেই খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিলেন জামায়াতের সাথে জোট আছে থাকবে।

১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ২০ জানুয়ারী সোহরাওয়ার্দী ময়দানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হলেও সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে জামায়াতকে বাদ দিয়েই সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা জেনারেল মাহবুবুর রহমানের একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে আবার শুরু হয় বিএনপি-জামায়াতের টানাপোড়েন। জেনারেল মাহবুব সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জামায়াত-শিবির সমাবেশে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীরা অশ্বস্তি বোধ করে। তাদের ব্যানারের জন্য আমাদের কোন ব্যানার দেখা যায় না। তার এই মন্তব্যের পর আবারো বিএনপির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জামায়াত-শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিগত তিন মাস যাবৎ রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে সরে এসে নীরবে সংগঠন গোছানোর কাছে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে ভাল ফলাফল করার পর এখন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে আগের চেয়ে বেশি চাঙ্গা দেখা যাচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের এই নীরবতাকে জোটের প্রধান শরীক বিএনপি খুব ভাল চোখে দেখছে না। সম্প্রতি নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা একটি অনলাইন নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াতের নীরব ভুমিকাকে সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা বলে মন্তব্য করার পরই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে আবার নতুন করে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

জামায়াতের নীতিনির্ধারক ফোরামের কোন নেতা এই ব্যাপারে মুখ না খোললেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। জামায়াত সরকারের সাথে গোপন সমঝোতায় যাচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে জামায়াতের একজন দায়িত্বশীল এই প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপিকে নিয়ে আমরা এখন উভয় সংকটে আছি। সরকারবিরোধী আন্দোলন করদে গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা এর দায়ভার জামায়াতের উপর চাপানোর চেষ্টা করে আর নীরব থাকলে বলে আমারা সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা করছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা এখন যাবো কোন পথে। জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, জামায়াত কখনো আঁতাতের রাজনীতি করে না। বরং বিএনপি নেতাদের সরকারের সাথে গোপন আঁতাতের কারণেই আজ পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন সফল হয়নি। বিগত পাঁচ বছর কারা জান-মাল রক্ষার জন্য সরকারের সাথে আতাত করে চলেছে এটা জনগণই ভাল জানে। এমনকি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যেই বলেছেন, সরকারের সাথে তাদের দলের নেতাদের গোপন সমঝোতার কথা। দলের চেয়ারপার্সনের কঠোর নির্দেশের পরও যারা রাজপথে না এসে নিজেদের পরিবার-পরিজন আর ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষায় ব্যস্ত থাকে এবং দলীয় প্রধানকে উদ্ধারের জন্য যারা একটি মিছিল নিয়ে আসতে পারেনি তাদের মুখে অন্যের সমালোচনা করা শোভা পায় না।

এই বিষয়ে কথা বললে নাম প্রকাশ না করে এক শিবির নেতা জানান, বিএনপির ইতিহাস হলো পিছন থেকে সুবিধা ভোগ করা। আন্দোলন-সংগ্রামে তাদেরকে রাজপথে দেখা না গেলেও সুবিধার বেলায় তারাই থাকে সবার আগে। বিগত পাঁচ বছর সরকার বিরোধী সকল কর্মসূচী সফলে ছাত্রশিবির অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। জীবন বাজি রেখে পুলিশের গুলির মুখে রাজপথে মিছিল করেছে। অথচ বিএনপি নেতা ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা জেনারেল মাহবুব বললেন, সমাবেশগুলোতে জামায়াত-শিবিরের ব্যানারের কারণে নাকি তাদের ব্যানার দেখা যায় না। আমার নাকি তাদের অস্বস্তির কারণ। এর চেয়ে অকৃতজ্ঞ আর নিমকহারাম রাজনীতিবিদের জন্ম মনে হয় অতীতে এদেশে আর হয়নি। শিবিরের এই নেতা আরো বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসী সফল করতে জামায়াত-শিবির মাঠে নামলেও বিএনপি নেতারা কাপুরুষের মত রাস্তায় বের হয়নি। আমাদের একজন ভাই সেদিন পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতার্মীদেরকে জনগণ মাঠে দেখেনি। বিএনপি নেতাদের ন্যুন্যতম লজ্জা শরম থাকলে জামায়াত-শিবির নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার কথা না।

জামায়াত সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা করছে একটি অনলাইন নিউজকে দেয়া বিএনপির কয়েকজন নেতার এমন মন্তব্যে জোটের মধ্যে কোন ফাটল ধরবে কি না জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে বিএনপির দায়িত্বশীল পর্যায়ের এক নেতা জানান, জোটের মধ্যে ফাটল ধরবে এমন বক্তব্য দেয়া কখনো ঠিক না। সরকার আমাদের জোটের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি জন্য দ্বীর্ঘদিন যাবত ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিছু গণমাধ্যমও একাজে সরকারকে সহযোগিতা করছে। এই প্রতিবেদনটিও সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।

স্থানীয় সময় : ১১৪৪ ঘণ্টা, ২২ মে ২০১৪বিএনপি-জামায়াতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে এখন আস্তে করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সন্দেহ-সংশয় আর অযাচিত বক্তব্যই মূলত এই ফাটলের মূল কারণ।

যদিও জামায়াতের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিবৃতির মাধ্যমে বলছে যে, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে কোন প্রকার দুরত্ব সৃষ্টি হয়নি। জোটের মধ্যে সমন্বয় আছে এবং থাকবে বলা হলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে বিএনপির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে এটা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি নেতাদের খোঁজে পাওয়া না গেলেও জোটের শরীক জামায়াতকে নিয়ে সমালোচনায় তারা পিছিয়ে নেই। জামায়াত রাজপথে আন্দোলন করলে বলে সহিংসতা আর নীরব থাকলে বলে সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা। বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যে এখন উভয় সংকটে পড়েছে জামায়াত।

১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতের তৎকালীন আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুজাম্মদ এরশাদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আজিজুল হকের মধ্যে এক লিখিত চুক্তির মাধ্যমে চারদলীয় ঐক্যজোটের যাত্রা শুরু হয়। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এরশাদ ডিগবাজি করে জোট থেকে বেরিয়ে এসে চরমোনাইর তৎকালীন পীর মাওলানা ফজলুল করিমকে নিয়ে স্বতন্ত্র জোট গঠন করে।

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট বিশাল বিজয় নিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট বিশাল বিজয় নিয়ে তারাও কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চারদলীয় জোট রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়েই তাদের দ্বীর্ঘদিনের ঐক্যে চির ধরতে শুরু করে। আওয়ামীলীগের পাঁঁচ বছর শাসনামলে বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী কোন জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণার পরই বিএনপি নেতারা চলে যেতেন কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে। জামায়াত-শিবির মাঠে থাকলেও বিএনপির কোন নেতার দেখা মিলতো না। সরকার পতনের লক্ষ্যে বেশ কিচু কর্মসূচী ঘোষণা করেও তারা সফল হয়নি।

বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘোষণার পরও মাঠে নামেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা। এমনকি অবরুদ্ধ দলের চেয়ারপার্সনকে উদ্ধার করার জন্যও তারা এগিয়ে আসেনি। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতার্মীদের মধ্যেও দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি নেতাদের পিছুটান দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত-শিবিরও।

৫ জানুয়ারির আওয়ামী লীগের এক তরফা নির্বাচনকে ঘিরে দেশে ঘটেছে মারত্মক সহিংস ঘটনা। এই সহিংস ঘটনার জন্য সরকার আর আন্তর্জাতিক মহলের মত বিএনপি নেতারাও আকার-ইঙ্গিতে দায়ভার জামায়াত-শিবিরের উপর চাপানোর চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে শুরু হয় মৌন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ প্রকাশ্যে রুপ নেয়ার আগেই খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিলেন জামায়াতের সাথে জোট আছে থাকবে।

১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ২০ জানুয়ারী সোহরাওয়ার্দী ময়দানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হলেও সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে জামায়াতকে বাদ দিয়েই সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা জেনারেল মাহবুবুর রহমানের একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে আবার শুরু হয় বিএনপি-জামায়াতের টানাপোড়েন। জেনারেল মাহবুব সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জামায়াত-শিবির সমাবেশে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীরা অশ্বস্তি বোধ করে। তাদের ব্যানারের জন্য আমাদের কোন ব্যানার দেখা যায় না। তার এই মন্তব্যের পর আবারো বিএনপির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জামায়াত-শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিগত তিন মাস যাবৎ রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে সরে এসে নীরবে সংগঠন গোছানোর কাছে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে ভাল ফলাফল করার পর এখন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে আগের চেয়ে বেশি চাঙ্গা দেখা যাচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের এই নীরবতাকে জোটের প্রধান শরীক বিএনপি খুব ভাল চোখে দেখছে না। সম্প্রতি নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা একটি অনলাইন নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াতের নীরব ভুমিকাকে সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা বলে মন্তব্য করার পরই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে আবার নতুন করে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

জামায়াতের নীতিনির্ধারক ফোরামের কোন নেতা এই ব্যাপারে মুখ না খোললেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। জামায়াত সরকারের সাথে গোপন সমঝোতায় যাচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে জামায়াতের একজন দায়িত্বশীল এই প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপিকে নিয়ে আমরা এখন উভয় সংকটে আছি। সরকারবিরোধী আন্দোলন করদে গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা এর দায়ভার জামায়াতের উপর চাপানোর চেষ্টা করে আর নীরব থাকলে বলে আমারা সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা করছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা এখন যাবো কোন পথে। জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, জামায়াত কখনো আঁতাতের রাজনীতি করে না। বরং বিএনপি নেতাদের সরকারের সাথে গোপন আঁতাতের কারণেই আজ পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন সফল হয়নি। বিগত পাঁচ বছর কারা জান-মাল রক্ষার জন্য সরকারের সাথে আতাত করে চলেছে এটা জনগণই ভাল জানে। এমনকি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যেই বলেছেন, সরকারের সাথে তাদের দলের নেতাদের গোপন সমঝোতার কথা। দলের চেয়ারপার্সনের কঠোর নির্দেশের পরও যারা রাজপথে না এসে নিজেদের পরিবার-পরিজন আর ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষায় ব্যস্ত থাকে এবং দলীয় প্রধানকে উদ্ধারের জন্য যারা একটি মিছিল নিয়ে আসতে পারেনি তাদের মুখে অন্যের সমালোচনা করা শোভা পায় না।

এই বিষয়ে কথা বললে নাম প্রকাশ না করে এক শিবির নেতা জানান, বিএনপির ইতিহাস হলো পিছন থেকে সুবিধা ভোগ করা। আন্দোলন-সংগ্রামে তাদেরকে রাজপথে দেখা না গেলেও সুবিধার বেলায় তারাই থাকে সবার আগে। বিগত পাঁচ বছর সরকার বিরোধী সকল কর্মসূচী সফলে ছাত্রশিবির অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। জীবন বাজি রেখে পুলিশের গুলির মুখে রাজপথে মিছিল করেছে। অথচ বিএনপি নেতা ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা জেনারেল মাহবুব বললেন, সমাবেশগুলোতে জামায়াত-শিবিরের ব্যানারের কারণে নাকি তাদের ব্যানার দেখা যায় না। আমার নাকি তাদের অস্বস্তির কারণ। এর চেয়ে অকৃতজ্ঞ আর নিমকহারাম রাজনীতিবিদের জন্ম মনে হয় অতীতে এদেশে আর হয়নি। শিবিরের এই নেতা আরো বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসী সফল করতে জামায়াত-শিবির মাঠে নামলেও বিএনপি নেতারা কাপুরুষের মত রাস্তায় বের হয়নি। আমাদের একজন ভাই সেদিন পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতার্মীদেরকে জনগণ মাঠে দেখেনি। বিএনপি নেতাদের ন্যুন্যতম লজ্জা শরম থাকলে জামায়াত-শিবির নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার কথা না।

জামায়াত সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা করছে একটি অনলাইন নিউজকে দেয়া বিএনপির কয়েকজন নেতার এমন মন্তব্যে জোটের মধ্যে কোন ফাটল ধরবে কি না জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে বিএনপির দায়িত্বশীল পর্যায়ের এক নেতা জানান, জোটের মধ্যে ফাটল ধরবে এমন বক্তব্য দেয়া কখনো ঠিক না। সরকার আমাদের জোটের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি জন্য দ্বীর্ঘদিন যাবত ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিছু গণমাধ্যমও একাজে সরকারকে সহযোগিতা করছে। এই প্রতিবেদনটিও সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।

স্থানীয় সময় : ১১৪৪ ঘণ্টা, ২২ মে ২০১৪বিএনপি-জামায়াতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে এখন আস্তে করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সন্দেহ-সংশয় আর অযাচিত বক্তব্যই মূলত এই ফাটলের মূল কারণ।

যদিও জামায়াতের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিবৃতির মাধ্যমে বলছে যে, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে কোন প্রকার দুরত্ব সৃষ্টি হয়নি। জোটের মধ্যে সমন্বয় আছে এবং থাকবে বলা হলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে বিএনপির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে এটা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি নেতাদের খোঁজে পাওয়া না গেলেও জোটের শরীক জামায়াতকে নিয়ে সমালোচনায় তারা পিছিয়ে নেই। জামায়াত রাজপথে আন্দোলন করলে বলে সহিংসতা আর নীরব থাকলে বলে সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা। বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যে এখন উভয় সংকটে পড়েছে জামায়াত।

১৯৯৯ সালের ৩০ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতের তৎকালীন আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুজাম্মদ এরশাদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আজিজুল হকের মধ্যে এক লিখিত চুক্তির মাধ্যমে চারদলীয় ঐক্যজোটের যাত্রা শুরু হয়। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এরশাদ ডিগবাজি করে জোট থেকে বেরিয়ে এসে চরমোনাইর তৎকালীন পীর মাওলানা ফজলুল করিমকে নিয়ে স্বতন্ত্র জোট গঠন করে।

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট বিশাল বিজয় নিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট বিশাল বিজয় নিয়ে তারাও কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চারদলীয় জোট রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়েই তাদের দ্বীর্ঘদিনের ঐক্যে চির ধরতে শুরু করে। আওয়ামীলীগের পাঁঁচ বছর শাসনামলে বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী কোন জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণার পরই বিএনপি নেতারা চলে যেতেন কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে। জামায়াত-শিবির মাঠে থাকলেও বিএনপির কোন নেতার দেখা মিলতো না। সরকার পতনের লক্ষ্যে বেশ কিচু কর্মসূচী ঘোষণা করেও তারা সফল হয়নি।

বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘোষণার পরও মাঠে নামেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা। এমনকি অবরুদ্ধ দলের চেয়ারপার্সনকে উদ্ধার করার জন্যও তারা এগিয়ে আসেনি। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতার্মীদের মধ্যেও দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি নেতাদের পিছুটান দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছে জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত-শিবিরও।

৫ জানুয়ারির আওয়ামী লীগের এক তরফা নির্বাচনকে ঘিরে দেশে ঘটেছে মারত্মক সহিংস ঘটনা। এই সহিংস ঘটনার জন্য সরকার আর আন্তর্জাতিক মহলের মত বিএনপি নেতারাও আকার-ইঙ্গিতে দায়ভার জামায়াত-শিবিরের উপর চাপানোর চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে শুরু হয় মৌন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ প্রকাশ্যে রুপ নেয়ার আগেই খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিলেন জামায়াতের সাথে জোট আছে থাকবে।

১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ২০ জানুয়ারী সোহরাওয়ার্দী ময়দানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হলেও সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে জামায়াতকে বাদ দিয়েই সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা জেনারেল মাহবুবুর রহমানের একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে আবার শুরু হয় বিএনপি-জামায়াতের টানাপোড়েন। জেনারেল মাহবুব সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জামায়াত-শিবির সমাবেশে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীরা অশ্বস্তি বোধ করে। তাদের ব্যানারের জন্য আমাদের কোন ব্যানার দেখা যায় না। তার এই মন্তব্যের পর আবারো বিএনপির উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জামায়াত-শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিগত তিন মাস যাবৎ রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে সরে এসে নীরবে সংগঠন গোছানোর কাছে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে ভাল ফলাফল করার পর এখন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে আগের চেয়ে বেশি চাঙ্গা দেখা যাচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের এই নীরবতাকে জোটের প্রধান শরীক বিএনপি খুব ভাল চোখে দেখছে না। সম্প্রতি নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা একটি অনলাইন নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াতের নীরব ভুমিকাকে সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা বলে মন্তব্য করার পরই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে আবার নতুন করে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

জামায়াতের নীতিনির্ধারক ফোরামের কোন নেতা এই ব্যাপারে মুখ না খোললেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। জামায়াত সরকারের সাথে গোপন সমঝোতায় যাচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে জামায়াতের একজন দায়িত্বশীল এই প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপিকে নিয়ে আমরা এখন উভয় সংকটে আছি। সরকারবিরোধী আন্দোলন করদে গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা এর দায়ভার জামায়াতের উপর চাপানোর চেষ্টা করে আর নীরব থাকলে বলে আমারা সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা করছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা এখন যাবো কোন পথে। জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, জামায়াত কখনো আঁতাতের রাজনীতি করে না। বরং বিএনপি নেতাদের সরকারের সাথে গোপন আঁতাতের কারণেই আজ পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন সফল হয়নি। বিগত পাঁচ বছর কারা জান-মাল রক্ষার জন্য সরকারের সাথে আতাত করে চলেছে এটা জনগণই ভাল জানে। এমনকি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যেই বলেছেন, সরকারের সাথে তাদের দলের নেতাদের গোপন সমঝোতার কথা। দলের চেয়ারপার্সনের কঠোর নির্দেশের পরও যারা রাজপথে না এসে নিজেদের পরিবার-পরিজন আর ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষায় ব্যস্ত থাকে এবং দলীয় প্রধানকে উদ্ধারের জন্য যারা একটি মিছিল নিয়ে আসতে পারেনি তাদের মুখে অন্যের সমালোচনা করা শোভা পায় না।

এই বিষয়ে কথা বললে নাম প্রকাশ না করে এক শিবির নেতা জানান, বিএনপির ইতিহাস হলো পিছন থেকে সুবিধা ভোগ করা। আন্দোলন-সংগ্রামে তাদেরকে রাজপথে দেখা না গেলেও সুবিধার বেলায় তারাই থাকে সবার আগে। বিগত পাঁচ বছর সরকার বিরোধী সকল কর্মসূচী সফলে ছাত্রশিবির অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। জীবন বাজি রেখে পুলিশের গুলির মুখে রাজপথে মিছিল করেছে। অথচ বিএনপি নেতা ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা জেনারেল মাহবুব বললেন, সমাবেশগুলোতে জামায়াত-শিবিরের ব্যানারের কারণে নাকি তাদের ব্যানার দেখা যায় না। আমার নাকি তাদের অস্বস্তির কারণ। এর চেয়ে অকৃতজ্ঞ আর নিমকহারাম রাজনীতিবিদের জন্ম মনে হয় অতীতে এদেশে আর হয়নি। শিবিরের এই নেতা আরো বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসী সফল করতে জামায়াত-শিবির মাঠে নামলেও বিএনপি নেতারা কাপুরুষের মত রাস্তায় বের হয়নি। আমাদের একজন ভাই সেদিন পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতার্মীদেরকে জনগণ মাঠে দেখেনি। বিএনপি নেতাদের ন্যুন্যতম লজ্জা শরম থাকলে জামায়াত-শিবির নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার কথা না।

জামায়াত সরকারের সাথে গোপন সমঝোতা করছে একটি অনলাইন নিউজকে দেয়া বিএনপির কয়েকজন নেতার এমন মন্তব্যে জোটের মধ্যে কোন ফাটল ধরবে কি না জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে বিএনপির দায়িত্বশীল পর্যায়ের এক নেতা জানান, জোটের মধ্যে ফাটল ধরবে এমন বক্তব্য দেয়া কখনো ঠিক না। সরকার আমাদের জোটের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি জন্য দ্বীর্ঘদিন যাবত ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিছু গণমাধ্যমও একাজে সরকারকে সহযোগিতা করছে। এই প্রতিবেদনটিও সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।