সরকারকে বিদেশে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি- ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করা হবে-খালেদা জিয়া
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারকে বিদেশে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সরকার দ্বারে দ্বারে ঘুরে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে। সরকার ভাবছে, বিদেশে ছবি তুললেই স্বীকৃতি আদায় হয়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ২০-দলীয় জোটের নেত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রায় ছয় বছর পর নীলফামারীতে গেছেন খালেদা জিয়া।
র্যার বাতিলের দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, র্যাব বাতিলের কথা বিদেশিরাও বলেছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, ছিনতাই দমনে বিএনপি জোট র্যাব গঠন করেছিল। এখন র্যাব টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করে। নারায়ণগঞ্জে র্যাবের খুনের কথা আপনারা সবাই জানেন।
নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন অথর্ব। এই কমিশন দিয়ে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না হলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন আরও বলেন, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করতে হয়। তাই এই সরকার পদত্যাগ না করলে আন্দোলন করে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে সরকার। পোশাক ও পাটশিল্প ধ্বংস করেছে তারা। সরকার রানা প্লাজার ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান দেয় নাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, সরকার ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। অন্যদিকে বিএনপির লক্ষ্য দেশের উন্নতি।
খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে নতুন নতুন আইন করছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, চুরি করে ক্ষমতায় বসে থাকা যায় না। শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি বলেও দাবি খালেদার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘জনগণ ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে আছে। তারা যে আমাদের সঙ্গে আছে, তা আগামীতে তারা প্রমাণ করবে। সরকার শুধু মিথ্যা কথা বলে, মিথ্যার ওপর ভর করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না।’