সরকারকে প্রশ্ন আর কাউকে রাজনীতি করতে দেবেন না?
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: নজরুল ইসলাম খানবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়েছেন, দেশে অন্য কাউকে রাজনীতি করতে দেবেন না? আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের নামে গতকাল সোমবার যশোরে নাশকতার পরিকল্পনার মামলা, বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীদের নতুন করে ধরপাকড়, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কারাবন্দী রাখা এবং দুই বিদেশি হত্যার সঙ্গে বিএনপিকে জড়ানোর প্রতিবাদ জানানো হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা স্পষ্ট জানতে চাই, তাঁরা কি দেশে অন্য কাউকে রাজনীতি করতে দেবেন, না দেবেন না? আমি তো বলি, প্রধানমন্ত্রীর আগের সরকারে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অনেক সৎ ছিলেন। কারণ তাঁরা আইন করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে আর কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। এখন তো সে সততাও দেখছি না।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাঁরা মুখে বলছেন না, আইন করছেন না, কিন্তু বাস্তবে এমনভাবে দেশ চালাচ্ছেন, যাতে অন্য কেউ রাজনীতি করতে না পারেন। এটা অন্যায়, অনাচার এবং অপরাধ।
বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং তরিকুল ইসলামের মতো নেতাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দেওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা মামলায় তরিকুল ইসলামসহ যাঁদের হয়রানি করা হয়েছে, তা বন্ধ করা হোক এবং বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করা হোক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যারা জনগণের সমর্থন পাবেন, তাঁরা দেশ পরিচালনা করবে, সে ব্যবস্থা করা হোক।
জাপানের নাগরিক কুনিও হোশে হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তিনি বলেন, কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিএনপি ও দলের নেতাদের অভিযুক্ত করছেন, তাতে মনে হয়, দেশে কোনো তদন্ত সংস্থা বা বিচারালয়ের প্রয়োজন হবে না। তদন্ত ছাড়াই তাঁরা আসামি নির্ধারণ করবে এবং সাজা দিয়ে দেবে। তিনি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।