সব সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সমাজ গড়তে হবে: ইউনূস
স্টাফ রিপোর্টার : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সব সম্প্রদায়ের নাগরিকরা এক সমাজে সমান অধিকার ভোগ করবে।শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ৩টায় দুর্গাপূজার নবমীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ জানান, প্রধান উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ড. ইউনূস বলেন, নিজেদের মনে করিয়ে দেই, সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে, র্যাবকে দিয়ে আমাদের আনন্দ, উৎসব করার আয়োজন করতে যাওয়াটা আমাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতাটাকে আমরা গ্রহণ করেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই যে, কোনো জায়গায় একটা অংশ আনন্দ-উৎসব করবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করব। এরকম সমাজকে নিয়ে আমরা কী করব? এরকম সমাজ কি আমরা চাই। আমরা এরকম সমাজ চাই না।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজের যেকোনো অংশ উৎসব করবে, আমরা সবাই মিলে সেখানে শরিক হব, তারা যেন নির্বিঘ্নে, আনন্দ সহকারে উৎসব করতে পারে, তারা নিজেরা এই আনন্দে অংশ নেবে এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ওটা করতে পারছি না। এটা করতে পারছি না বলেই আমাদের ছাত্র-জনতার, শ্রমিক এরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে আজকে আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই যে আমরা আপনাদের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে আপনাদের উৎসবের সুযোগ করে দিলাম। এটা যেন ভবিষ্যতে আর কখনো করতে না হয়, সে জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার চতুর্থ দিনে মহানবমী উদযাপিত হচ্ছে। তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, এদিন সকালে শুরু হয়েছে নবমী পূজা। আগামীকাল রোববার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।