সন্ত্রাস জঙ্গিবাদীরা ইসলামের শত্রু তাদের মুখোশ খুলছেন বাদশাহ-মক্কার ইমাম
স্টাফ রিপোর্টার : মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী কর্তৃপক্ষের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইমাম শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসের আল খুজায়েম বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইসলামের শিক্ষা নয়। যারা জঙ্গিবাদ ছড়াতে ইসলামের নাম ব্যবহার করছে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে তার দেশের বাদশাহ কাজ করছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা সম্মেলনে যোগ দিয়ে মক্কা শরিফের ইমাম এ কথা বলেন। মদিনা শরিফের মসজিদে নববির ইমাম আবদুল মহসীন বিন কাশেমও এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তারা দুই জনই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। এই দুইজনই বক্তব্য দেন আরবিতে। সঙ্গে সঙ্গে সেই বক্তব্য বাংলায় অনুবাদ করে দেন একজন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী তৎপরতা ইসলামবিরোধী জানিয়ে মক্কা শরিফের ইমাম বলেন, নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করা অনেক বড় অবরাধ। কোনো মুসলমানকে কোনো মুসলমান হত্যা করতে পারে না। এমনকি বিধর্মীকেও কোনো মুসলমান অন্যায়ভাবে হত্যা করতে পারে না। কোনো মুসলমান যদি কোনো মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে তাহলে তার জন্য জাহান্নাম নির্দিষ্ট রয়েছে। এ থেকে কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, মুসলমানদের দেশে বিধর্মীদেরও হত্যা করা যাবে না। তাদের জান ও মাল হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ মুসলমানদেরকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা দেশে অশান্তি নিয়ে আসতে চায়, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা জাহান্নামে যাবে। ইসলামে কয়েকটি হারাম কাজ বলা আছে। যারা মানুষকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে, যারা হত্যা করতে চায়, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের জন্য আজাব রয়েছে। তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনা সম্পর্ক নেই।
মক্কা শরিফের ইমাম বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করা আল্লাহর নেয়ামত। এ জন্য যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য দোয়া করছি। কারণ, আল্লাহর বড় একটি নেয়ামতের দায়িত্ব তারা পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি, যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান মক্কা শরিফের ইমাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ক স্থাপনে অনেক উত্তম পদক্ষেপ নিয়েছেন।আমার বিশ্বাস এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হবে।