‘সন্তান সন্দেহজনক নিখোঁজ হলেই পুলিশ-র্যাবকে জানান’
স্টাফ রিপোর্টার : কারো পরিবারে কোনও সদস্যের আচরণ সন্দেহজনক বা কেউ নিখোঁজ হলেই পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে খবর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা কোনো এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি তৎপরতার তথ্য থাকলে তাও তিনি জানাতে বলেছেন।
সোমবার বিকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।র্যাব ডিজি বলেন, গুলশানে হামলার ঘটনা মাথায় রেখে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
যে কোনো প্রকার জঙ্গি হামলা মাথায় নিয়ে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে জানিয়ে সবাইকে নির্ভয়ে নামাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, পরিবারের কেউ মিসিং থাকলে, আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাবে– এমন ভয় না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানান। তাকে খুঁজে বের করতে পারলে তার জীবন ও অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারব।
এছাড়া কারও ব্যাপারে সন্দেহ হলেও নিজ উদ্যোগে আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানাতে বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
গুলশান হামলায় নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের প্রসঙ্গ টেনে র্যাবের ডিজি বলেন, এরা মূলত জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। তাদের সব রকম তথ্য যাচাই করে এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দেশী-বিদেশী অন্তত ৩৩ জন জিম্মি করে।
সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে শনিবার সকালে জিম্মি সংকটের অবসান হয়।
সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।
নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশী, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।
উল্লেখ্য, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায়। এখানে ৫ হাজার নারীসহ ৮৯ হাজার মুছুল্লী ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে ঈদ জামায়াত নির্বিঘ্ন করতে যাবতীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। ঈদগাহ এলাকায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে নিয়োজিত আছেন গোয়েন্দারা। র্যাবের সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।