সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআই’রা
অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মিনহাজ উদ্দিন অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মিনহাজ উদ্দিন দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, খুবই তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি’র ঘটনা নজিরবিহীন। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
বিশেষ প্রতিনিধি : চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)। এর আগে সকাল থেকে তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের বিপরীত পাশের সড়কে অনশনে বসেছেন তারা।অব্যাহতি পাওয়া এসআই মো. আকাশ দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আমরা সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। এরপর আলোচনার জন্য আমাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। কিন্তু তারা দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস দেয়নি। সেজন্য আমরা বিকেল থেকে অনশনে বসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো।
অব্যাহতি পাওয়া এসআই-রা জানিয়েছেন, ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করে আমাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ আবার অবস্থান কর্মসূচি পালনে এসেছিলাম। এখন শুরু হয়েছে অনশন কর্মসূচি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মিনহাজ উদ্দিন অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মিনহাজ উদ্দিন দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, খুবই তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।অব্যাহতি পাওয়া আরেক এসআই অম্লান মিত্র বলেন, আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর।
আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলেতো এমন ফলাফল হওয়ার কথা না।কর্মসূচিতে আসা আরেকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হবো তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হল। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।
৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তাদের মধ্যে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।