সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ না দেওয়ায় বিরোধী দলের ক্ষোভ
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ না দেওয়ায় জাতীয় সংসদে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সাংসদেরা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে তাঁরা এ ক্ষোভ জানান। এর আগে গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পার্টিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ না দেওয়ায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
গত দুই দিন জাতীয় পার্টির নেতারা সংসদে ক্ষোভ জানালেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদে জাতীয় পার্টির কাউকে না দেওয়া খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল ও বড় রাজনৈতিক সংগঠন। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে আমাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে মানুষ সত্যিকার বিরোধী দল মনে করতে চায় না। জাতীয় পার্টি সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব খারাপ। এর বড় নজির সাম্প্রতিককালের উপজেলা নির্বাচন। বাইরে আমাদের মুখ দেখাতে কষ্ট হয়।’
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘স্বতন্ত্র ১৯ জন সাংসদ থাকলেও একটি সভাপতির পদও দেওয়া হয়নি। সরকার উদারতা ছেড়ে কেন কৃপণতায় চলে গেল, তা বোঝা গেল না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ না পেয়ে জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র সাংসদদের কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গতকাল উচ্চ আদালতের বিচারকদের ৫০ শতাংশ ভাতা বাড়ানোসংক্রান্ত বিল পাসের সময় স্বতন্ত্র কয়েকজন সাংসদ ওয়াকআউটের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সংরক্ষিত আসনের তিনজন নারী সাংসদ সম্মত না হওয়ায় তাঁরা ওয়াকআউট করেননি।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র সাংসদ কামরুল আশরাফ খান স্বতন্ত্র তিন নারী সাংসদকে ওয়াকআউট করার কথা বলেন। তিনি তাঁদের বলেন, স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ দেওয়া হয়নি। তাই ওয়াকআউট করতে হবে। কিন্তু নারী সাংসদেরা সম্মত না হওয়ায় কামরুল আশরাফ তাঁদের হুমকি দেন। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র সাংসদেরা সমর্থন প্রত্যাহার করলে তিন নারী সাংসদের সদস্যপদ থাকবে না।
এ পরিস্থিতিতে তিন নারী সাংসদ তাত্ক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর লবিতে গিয়ে তাঁর কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, তিন দফায় মন্ত্রণালয় এবং সংসদবিষয়ক ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিটি কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদেরা। গত সংসদে বিরোধী দল বিএনপিকে দুটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল।
তিস্তা চুক্তির আগে ভারতকে কোনো করিডোর দেওয়া যাবে না
বিএনএফের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি হয়নি, ছিটমহল চুক্তি হয়নি। দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান না করে আমরা একটার পর একটা ভারতের দাবি মেনে যাব, তা হতে পারে না। তিস্তা