সংবিধান সংশোধনী বিল কাল সংসদে পাস হচ্ছে
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল, ২০১৪ কাল বুধবার সংসদে পাস হচ্ছে। বিলটি পাসের জন্য সংসদের আগামীকালের কার্যসূচিতে অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এই কার্যসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিলটি বুধবার পাস হবে।এই সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত হবে। বর্তমানে এই ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে আছে। বিলে বলা হয়েছে, বিচারকদের অপসারণের পদ্ধতি আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইতিমধ্যে বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে আইনটি করা হবে।
বিলটির দু-একটি জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব করে সরকার ও বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন সাংসদ নোটিশ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সাংসদেরা জানিয়েছেন।৭ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধান সংশোধন বিল সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি দুই বৈঠকে বিলটি যাচাইবাছাই করে রোববার সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বিলটি পাসের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আজ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সংবিধান সংশোধনের বিল পাসের ক্ষেত্রে বিভক্তি ভোটের বিধান রয়েছে। সেজন্য ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিলটিতে সংশোধনী প্রস্তাব দিয়ে সরকারি দলের খান টিপু সুলতান, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও নুরুল ইসলাম, সরকারের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল ও শিরীন আকতার এবং স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, হাজি মো. সেলিম ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী নোটিশ দিয়েছেন।
সরকার ও তাদের শরিক দলের সদস্যরা ‘সংসদ বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারবে’ শব্দগুচ্ছ বিলে অন্তভুর্ক্ত করার প্রস্তাব করেছেন।ফিরোজ রশীদ বিচারকের অসামর্থ্য ও অসদাচরণের বিষয়টি তদন্তের জন্য ‘জুডিশিয়াল ইনভেস্টিগেশন কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব করেছেন।