• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

‘সংবিধান আমাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে-তবে অনেক কিছুই করতে পারি না।’


প্রকাশিত: ১:০১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯৫ বার

 

আবদুল হামিদ শফিক আজিজি:
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন,  ‘সংবিধান আমাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। তবে বিবেক-বিবেচনা করে অনেক কিছুই করতে পারি না।’দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ‘পাওয়ার’ বা ‘ক্ষমতা’ শব্দটি তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ক্ষমতা শব্দটি তাঁর কাছে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ সমার্থক মনে হয়।

আজ রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার পর পাঁচ দিনের হাওর পরিদর্শন শেষ করে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে করে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন।

ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংবিধান আমাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। তবে বিবেক-বিবেচনা করে অনেক কিছুই করতে পারি না।’ তিনি ক্ষমতা শব্দটির প্রয়োগের বিরোধিতা করে বলেন, ‘পাওয়ার শব্দটি শুনতে কেমন জানি লাগে। ক্ষমতার অপব্যবহার করার মতো কিছু বোঝায়। আমি মনে করি, রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।’

abdul_hamid--www.jatirkhantha.com.bd-1পাঁচ দিনের হাওরে কাটানো স্মৃতির কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘পাঁচ দিন ভালো ছিলাম। হাওরের আলো-বাতাস গায়ে লাগিয়ে আর পানি দেখে কাটিয়েছি। আজ আবার বঙ্গভবনে ফিরে যাব। সেখানে রাজার হালে থাকা-খাওয়া চলবে। কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠবে হাওরের স্মৃতি আর ৫৪ বছর যাঁদের নিয়ে রাজনীতি করেছি সেসব মানুষের মুখ।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আজিজ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। আজ ছিল রাষ্ট্রপতির নিজ জেলা শহর কিশোরগঞ্জ ও হাওর ভ্রমণের পাঁচ দিনের শেষ দিন। আইনজীবী সমিতির এ অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিয়েই বেলা দেড়টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেন।

বঙ্গভবন থেকে বের হলে সাধারণ মানুষের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংসদ আমার পুরোনো জায়গা, পুরোনো স্মৃতি। সেখানে যেতে হলে আসা-যাওয়ায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়। ওই সময় সাধারণ মানুষের মুখ থেকে কী বের হয়, তা আমি ভালো করেই জানি। ছাত্রজীবনের স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, ছাত্রাবস্থায় এই জাতীয় ভিআইপির কারণে যানজটে পড়তে হলে আমার মুখ দিয়ে গালি ছাড়া অন্য কিছু বের হতো না। এই কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিড়ম্বনার কথা মনে করে বঙ্গভবন থেকে বের হতে মন চাই না।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জজ আ ম ম সায়িদ, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম প্রমুখ।