• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শ্রমিক নেত্রী লাকিকে নিয়ে ডিউ ফ্যাশনের গাত্রদাহ কেন?


প্রকাশিত: ১০:৪০ পিএম, ১৬ মে ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার

গাজীপুর থেকে মোস্তফা কামাল প্রধান : গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক নেত্রী তানিয়া Lucky-www.jatirkhantha.com.bdখাতুন লাকিকে কারখানা কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নগরের বড়বাড়ি এলাকার তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়েছে। জয়দেবপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাহবুব হাসান জানান, তানিয়া খাতুন লাকির নামে মামলা থাকায় মামলার আইও এসআই মোঃ আসওয়াদুর রহমান তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এসআই মোঃ আসওয়াদুর রহমান জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি নগরের বোর্ডবাজার এলাকায় অবস্থিত ডিউ ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক নেত্রী তানিয়া খাতুন লাকিসহ (২৬) শ্রমিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল আলমকে মারপিট করে এবং তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন।

এ ঘটনায় রবিউল আলম বাদী হয়ে ওইদিন জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ১২৬/০২-১৬) দায়ের করেন। মামলায় কারখানার মোট ৩০ জন শ্রমিকের নাম উলে­খ  থাকলেও লাকির নাম ১নং আসামীর তালিকায় রয়েছে এবং অজ্ঞাত আরো কয়েকজন শ্রমিককেও আসামি করা হয় ।

এঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃত আসামী লাকিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ সোমবার তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে প্রভাব ফেলতেই লাকিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করছেন তার সহকর্মী শ্রমিকেরা।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিবাদ

রোববার (১৫ মে) গভীর রাতে গাজীপুরের জেলার শ্রমিকনেতা লাকী আক্তার কে সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

লাকী আক্তার গাজীপুরের বেআইনিভাবে বন্ধ করা ভিউ ফ্যাশন লিঃ কারখানার চলমান শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। কারখান খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় রাজধানীর কারওান বাজারে অবস্থিত কল-কারখানা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী ছিল।

বিবৃতিতে শ্রমিক নেতা লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক এর দায়িত্ব অবিলম্বে স্বীকার করে, তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়। একই সাথে মালিক পক্ষের তাবেদার সরকার কর্তৃক শ্রমিক আন্দোলনে চলমান দমন-পীড়ন ও সকল স্বৈরাচারী জুলুম বন্ধের দাবি জানানো হয়।