শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা ও মাসউদের ফতোয়ার অন্তরালে-ধর্মের নাম দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করবে তারা জাহান্নামে যাবে-
এস রহমান : শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা ও মাসউদের ফতোয়ার অন্তরালে-ধর্মের নাম দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করবে তারা জাহান্নামে যাবে- এ প্রশ্ন এখন শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর। দেশের বৃহত্তর ঈদগাহ শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠের পাশে কয়েকশ’ গজ দূরে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও এক হামলাকারি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ জন পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১৫ জন। তবে নিহত আহত’র সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এই হামলা হলো তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষন। এবার ছিল ১৮৯তম ঈদুল ফিতরের জামাত।প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে শোলাকিয়া ঈদগাহ্ ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।
এবার ঈদের আগে শোলাকিয়া মসজিদের ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হারাম- এমন অন্তত ১০টি ফতোয়া ঘোষণা করেছিলেন। এনিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্ঠি হয়। অভিজ্ঞ মহল সন্দেহ করছেন, এই ফতোয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে থাকতে পারে সন্ত্রাসীরা।
মাসউদের চাঞ্চল্যকর ফতোয়া-
শোলাকিয়া মসজিদের ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সম্প্রতি সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হারাম- এমন অন্তত ১০টি ফতোয়া ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া মসজিদের ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ফতোয়ায় বলেন, “ধর্মের নাম দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করবে তারা জাহান্নামে যাবে।”
জঙ্গিবাদ ঠেকানো ও কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যা ঠেকাতে এক লাখ আলেম উলামার সমর্থন নিয়ে তিনি এসব ফতোয়া প্রণয়ন ও ঘোষণার কথা জানান।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফতোয়াগুলো প্রকাশ করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, “যেকোনো পরিস্থিতিতে খুন করা অপরাধ এবং ইবাদত বা উপাসনারত কাউকে হত্যা করা সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ। অমুসলিমদেরউপাসনালয়ে হামলা করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম ও অবৈধ এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
মাসঊদের ঘোষিত ফতোয়ার মধ্যে আরো রয়েছে আত্মহত্যা বা আত্মঘাত ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম, সন্ত্রাস ও আতঙ্কসৃষ্টি করা যেহেতু হারাম এবং নিষিদ্ধ সুতরাং তা কখনো বেহেশত পাওয়ার পথ হতে পারে না।
কোরান ও হাদিসের নানা ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “জিহাদ আর সন্ত্রাস একই জিনিস নয়, বরং সন্ত্রাস হারাম ও অবৈধ।”