• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

শোলাকিয়ায় গুলি বোমায় নিহত তিন-মুসল্লীদের নিরাপদে বের করে আনা হচ্ছে-জেলা প্রশাসক


প্রকাশিত: ১:০৪ পিএম, ৭ জুলাই ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি/ বিশেষ প্রতিনিধি  :  কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে Solakia-1-www.jatirkhantha.com.bdsolakia-www.jatirkhantha.com.bdহাতবোমা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনার পর মুসল্লীদের নিরাপদে বের করে আনছে জেলা প্রশাসন। দুপুর সাড়ে ১২টায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাতিরকন্ঠকে জানান, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে। শেষ খবর পাওয়া পর্য্ন্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল ও এক হামলাকারী নিহত হয়েছেন। দুই হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে হাতবোমা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল ও সন্ত্রাসীসহ  ৩ জন নিহত এবং ৮ পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন।

সন্ত্রাসী হামরায় জহিরুল ইসলাম নামে পুলিশের এক কনস্টেবল ও এক হামলাকারী নিহত হয়েছেন।  সকাল ১০ টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের প্রায় সোয়া ঘণ্টা আগে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

শোলাকিয়া ঈদগাহে টহলরত পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বোম‍া হামলা ও গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়েছে সন্দেহ করে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র‌্যাব। ওই বাড়ির মালিক হলেন করিমগঞ্জের গুণধর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হান্নান ভূইয়া বাবুল।

শোলাকিয়া ঈদগাহ থেকে প্রায় চারশ গজ পশ্চিমে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের বোমার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন সন্ত্রাসী প্রথমে চাপাতি দিয়ে এক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসীরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে  গেলে সন্ত্রাসীরা অনবরত বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

এতে আটজন পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়। আহতদেরকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জহিরুল নামে একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। পরে একজন হামলাকারীও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গুরুতর আহত পাঁচজনকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তাদেরকে ময়মনসিংহ থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেবার কথা রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার কারণে ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ ঈদগাহে পৌঁছতে পারেননি। তিনি সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে আসেন। তিনি ঈদগাহে পৌছাতে না পারায় ঈদ জামাতে ইমামতি করেন শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. সোয়াইব।   শেষ খবর পাওয়া পর্য্ন্ত দুই হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জাতিরকন্ঠকে জানান, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে। ঘটনার পর নামাজ পরতে মুসল্লীদের এখন নিরাপদে বের আনে আনা হচ্ছে।

ঈদের জামাত পড়াতে পারেননি মাওলানা মাসউদ-

এবার ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত পড়াননি নির্ধারিত ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ। তার বদলে আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেছেন মাওলানা আবদুর রওফ বিন শোয়াইব। নামাজের আগে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে হতাহত হওয়ার ঘটনার মধ্যে ভিন্ন ইমাম দিয়ে নামাজ হয়েছে।