শিশু পর্নোগ্রাফি বিদেশে পাচার করত টিপু কিবরিয়া-
সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান জানান, ইন্টারপোল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি এই অভিযান চালায়। এক ছেলে শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, ইন্টারপোল ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশের শিশু পর্নোগ্রাফি বিদেশে পাচার হয় বলে অভিযোগ পায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগটির বিষয়ে নজরদারি করছিল। একপর্যায়ে তারা টিপুর চেহারা শনাক্ত করতে পারে। ২০১৪ সালে ইন্টারপোল নিশ্চিত হয়, এটি টিপু কিবরিয়া। মুগদায় তাঁর একটি স্টুডিও আছে। সেখানে ছেলে পথশিশুদের পর্নোগ্রাফি করতেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে ইন্টারপোল বিষয়টি সিআইডিকে জানায়। এর ভিত্তিতে সিআইডি প্রথমে খিলগাঁও থেকে টিপু কিবরিয়াকে আটক করে। পরে তাঁকে নিয়ে তাঁর স্টুডিওতে গিয়ে পুলিশ নুরুল ইসলাম ও শাহারুল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দাবি, টিপু কিবরিয়া স্বীকার করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়ায় এগুলো বিক্রি করা হতো। এক জার্মান ও এক সৌদি নাগরিকের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
টিপু কিবরিয়ার মূল নাম ফখরুজ্জামান। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় একটি প্রকাশনীতে কাজ করতেন। তাঁর হয়ে শাহারুল আর্থিক লেনদেনগুলো দেখতেন।
সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম জানান, টিপু কিবরিয়ার ৫০টির ওপর বই আছে। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী।