“শিশুটি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়নি-মুখ চেপে ধরে ভয় দেখানো হয়েছিল”
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: যে শিশুটিকে নিয়ে উত্তাল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল, সেই শিশুটির বাবার দাবি তার মেয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়নি।শিশুটির বাবা বলেন, আমার বাচ্চাকে ভয় দেখানো হয়েছিল এর বেশি কিছু নয়। কিছু অভিভাবকের বাড়াবাড়ির কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন, এমন কথা উল্লেখ করে শিশুটির বাবা ও মা বললেন, মেয়ের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫মে। স্কুলটির পেছনে ক্যান্টিনের সামনে খেলার সময় সাত বছর বয়সী শিশুটির মুখ চেপে ধরে ভয় দেখানো হয়। পরদিন শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি জানানোর পর শুরু হয় তদন্ত। এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে শিশুটির বাবাকেও সদস্য বানানো হয়।
এরইমধ্যে শুরু হয়ে যায় আন্দোলন। যার সূত্র ধরে স্কুলের ভেতরে লাঞ্ছিত করা হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। তাকে উদ্ধার করতে ছুটে আসা কয়েকজন ছাত্রীর উপরও চড়াও হন আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে ভাইস প্রিন্সিপালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর একদিন পর রোববার শিশুটির বাবা জনায়, তার মেয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়নি।শিশুুটির মায়ের দাবি, তদন্তে স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে। তবে কিছু ব্যক্তি তার মেয়ের বিষয়টিকে পুঁজি করে পরিস্থিতি এমন করছে বলেও জানায় শিশুটির মা।
এদিকে দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়া ভাইস প্রিন্সিপালের দাবি তিনি পরিস্থিতির শিকার। তবে যেসব ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার তদন্ত চান তিনি।অপসারিত ভাইস প্রিন্সিপাল জিন্নাতুন নেছা বলেন, শিশুর অভিভাবকরা যে লাঞ্ছনার কথা বলে এটাতো আরেকটা শিশু লাঞ্ছনার আইনের মধ্যে আসে।
আমি মনে করি এটাও আইনের আওতায় আসা উচিৎ।এদিকে গ্রীষ্মকালিন ছুটি ঘোষণা করায় রোববার কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে শনিবার ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেন, আমরা শিশুদের নিরাপত্তার কথা বলছি, আবার শিশুদের শরীরেও হাত তোলা হচ্ছে। এখানে শিশুদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এটা আমরা গতকাল প্রত্যক্ষ করেছি। যারা এই নির্যাতন করছেন তারা কী চায় এটা আমরা এখনো বুঝতে পারছি না।সোমবারের মধ্যে তদন্ত কমিটির রির্পোট জমা দেয়ার কথা রয়েছে।