• সোমবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিলাস্তির ফাঁদে এমপি আনার খুন


প্রকাশিত: ৭:১৯ পিএম, ২৩ মে ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

 

শফিক রহমান : ভাড়াটে খুনীদের ফাঁদে পড়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিয়েছিল এই শিলাস্তির ফাঁদে ফেলে। আনারকে শিলাস্তির ছবি দেখিয়েই মধুকুঞ্জে নেয়া হয়েছিল। এরপর আনার এই নারীর ফাঁদ থেকে আর বের হতে পারেননি। শিলাস্তির ফাঁদে পড়ে শেষমেষ ভাড়াটে খুনীরা আনারকে টুকরা টুকরা করে লাশ ট্রলি ব্যাগে করে মধুকুঞ্জের বাইরে নিয়ে যায়। ওই ট্রলিব্যাগ নিয়ে প্রথম বেরিয়ে আসে শিলাস্তি। ঘটনা ভিন্নদিকে মোড় ঘোরাতে আখতারাজ্জামান শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। এরপর লাশ গুমে সহায়তা করেন। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই এমপি আনারের টুকরো করা মরদেহের একটি ট্রলি নিয়ে প্রথমে বের হয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।

আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতায় হত্যার ঘটনা জানাজানির পর শিলাস্তি রহমান নামে এক নারীর নাম সামনে এসেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপিকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউ টাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবনী গার্ডেনে’র যে ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছে, সেখানে অবস্থান করেছিলেন ওই নারী। হত্যা মিশন ঘটিয়ে মূল কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে তিনি গত ১৫ মে দেশে ফেরেন। ওই নারীকে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাদের জালে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, শিলাস্তি রহমান এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

কলকাতার সূত্র জানায়, যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে, সেটি ৩০ এপ্রিল আক্তারুজ্জামান শাহীন ভাড়া নেন। কলকাতা পুলিশ ওই ফ্ল্যাট কম্পাউন্ডের সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গত ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে তিনজন একসঙ্গে ঢোকেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন সেখানে অবস্থানের পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই শিলাস্তি। ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।
ঢাকার ডিবি সূত্র বলছে, তাদেরও ধারণা ওই নারীই শিলাস্তি। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল কিলার আমানুল্লাহ।

সূত্রটি আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এই নারীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। এরপর লাশ গুমে সহায়তা করেন। আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি মিলেই এমপি আনারের টুকরো করা মরদেহের একটি ট্রলি নিয়ে প্রথমে বের হয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে।