শিগগির ফিরছেন গতির সম্রাট রুবেল
আসমা খন্দকার : আবারও ফিরছেন গতির সম্রাট রুবেল।রুবেল বললেন, অনেক দিন পর আজ পুরোপুরি ছন্দে বোলিং করেছি। শিগগির মাঠে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী, বললেন-‘অনেক দিন পর পুরো ছন্দে বোলিং করলাম। নিজেকে শতভাগ উজাড় ও গতি দিয়ে বোলিং করেছি। যখন এভাবে বোলিং করি, মুখে একটা আওয়াজ বের হয়। আজ সেটা হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আশা করি মাঠে ফিরতে পারব।
অস্ট্রেলিয়ায় গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের অন্যতম অংশীদার ছিলেন। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলের সেই ভয়ংকর সুন্দর দুটি স্পেল বহুদিন মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাংলাদেশ যখন আরেকটি বিশ্বকাপ-মিশনে, রুবেল তখন নিজেকে ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষায়। চোটের কারণে ঘরের মাঠে খেলতে পারেননি জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও এশিয়া কাপ। হাতছাড়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও।
ঘরের মাঠে হওয়া আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হঠাৎ শেষ হয়েছিল চোটের কারণে। এবার তো দলের অংশই হতে পারলেন না। স্বাভাবিকভাবে মনটা বিষণ্ন এই পেসারের, ‘খারাপ তো লাগছেই। বিশ্বকাপের মতো বড় জায়গায় খেলার লক্ষ্য থাকে সব খেলোয়াড়ের। কিন্তু চোট নিয়ে খেলা যায় না। বাস্তবতা মানতে হবে।
মনে করি, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। চেষ্টা করব সামনে যেন এই ধরনের টুর্নামেন্ট আর হাতছাড়া না হয়।’
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে চোটের সঙ্গে লড়াই চলছে রুবেলের। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ‘এ’ দলের চার দিনের ম্যাচে ২ ওভার ৫ বল করে চোট পান বাঁ-পায়ের পেশিতে। সফর অসমাপ্ত রেখে ফিরে আসতে হয় দেশে।
মাঝে সিলেট সুপার স্টারসের হয়ে বিপিএলে ছয়টি ম্যাচ খেললেও এই পেসার আসলে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না তখনো। বিপিএলের পর ফিটনেস ট্রেনিং করতে গিয়ে পায়ের পেশির ব্যথাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আবারও। দীর্ঘ সময়ে দলের বাইরে থাকা কতটা কষ্টের, সেটাই বললেন রুবেল, ‘বাইরে থেকে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখতে কষ্ট লাগে।
যখন জাতীয় দলে খেলি, সবার সঙ্গে সময় কাটে দারুণ। এটা ঠিক, জাতীয় দলে থাকলে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকা যায়। তবে এসব নিয়ে ভাবি না। যখন পুনর্বাসনে থাকি, খুব একঘেয়ে সময় কাটে। কিন্তু কিছুই করার নেই। এটাই খেলোয়াড়দের জীবনের অংশ।’