• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিগগিরই ঢাকা আসতে চাই-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি


প্রকাশিত: ১১:২১ পিএম, ২ মার্চ ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার

 

bf0ae373500ad861ded90a7766ebe27b-Hasina-Modi-AFP

বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা :     ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ আসতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিব জয়শঙ্কর আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠি তুলে দিয়েছেন। ওই চিঠিতে মোদি ঢাকা সফরের জন্য নিজের আগ্রহের কথা শেখ হাসিনাকে জানান।
শেখ হাসিনার সঙ্গে জয়শঙ্করের সৌজন্য সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী গণমাধ্যমের কর্মীদের এ তথ্য জানান।

আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনের দপ্তরে দেখা করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। প্রথম পর্যায়ের সার্ক যাত্রার অংশ হিসেবে সোমবার সকালে থিম্পু থেকে ঢাকায় আসেন জয়শঙ্কর। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের জন্য জয়শঙ্করকে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দিনের শুরুতে জয়শঙ্কর পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন তিনি আগ্রহের সঙ্গে ঢাকা সফরের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে জয়শঙ্কর পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব প্রধানমন্ত্রীকে জানান, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকার সঙ্গে শিগগিরই বাণিজ্য প্রটোকল ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি সই করতে যাচ্ছে দিল্লি।
প্রেস সচিব জানান, ঋণচুক্তির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প ভালোভাবে এগুচ্ছে বলেও জয়শঙ্কর ভারতের সন্তোষের কথা জানান।
বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার বিষয়েও বৈঠকে কথা হয়। ত্রিপুরার পালটানা থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আগ্রহ দেখান শেখ হাসিনা।
এ সময় জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে দুই দেশের বেসরকারি খাতকেও কাছে লাগানোর কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। বৈঠকে ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান শামীম চৌধুরী।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সার্কের বাইরেও দ্বিপক্ষীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথাও বলেছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বিষয়টি সুরাহার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে ভারত। জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শহীদুল হক বলেন, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। দুই দেশের ‘প্রগাঢ় বন্ধুত্ব’ প্রতিষ্ঠা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের শুভেচ্ছা সফরে মূল বার্তা।
পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক মনে করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা দ্রুত সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যা ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন।
তবে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দুই সমস্যা—স্থল সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা চুক্তি সমাধানে সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়েছে কি না, সেটি তিনি গণমাধ্যমের কর্মীদের জানাতে পারেননি।
শহীদুল হক বলেন, সব বিষয় নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা হয়েছে। তবে সম্পর্কের ব্যাপকতার কারণে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আর এ ধরনের শুভেচ্ছা সফরে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা হয় না। সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।