শালমান শাহ হত্যাকান্ডের নয়া মোড়
কোর্ট রিপোর্টার : চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ইমন ওরফে সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার নারাজীর আসামি বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবির ফেসবুকের ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন বাদী। সোমবার সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে ওই ভিডিওবার্তা আদালতে সিডি আকারে উপস্থাপন করেন।
অন্যদিকে এদিন এ মামলার নারাজীর আরেক আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ আদালতে ওই সকল আবেদন করেন। বিচারক ঢাকা মহানগর হাকিম মাহামুদা আক্তার শুনানি শেষে পরে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
আসামি রুবির ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাকে গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদনে আইনজীবী ফারুক বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থাকা আসামি রুবি গত ৭ আগস্ট ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন। ওই ভিডিওবার্তায় রুবি বলেছেন, “সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।”
রুবি আরও বলেছেন, স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তার ভাই রুমিকেও খুন করা হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর আলোচিত মামলা তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ওপর নারাজীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালত র্যাবকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিশন করলে র্যাবকে দেওয়া তদন্তের আদেশ বেআইনী ঘোষণা করা হয়।
শালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী নারাজীতে মাফিয়া ডন মাফিয়া ডন আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অপর ১০ জন হলেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, এফ ডিসির সহকারী নিত্য পরিচালক নজরুল শেখ নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহপরিচারিকা মনোয়ারা বেগম।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের ১১/বি নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসা নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিংসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।