বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা :
রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তাঁর স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ শনিবার বলেন, ‘এ ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আসামি হুমায়ুন প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা পেতে পারেন কি না, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আলোচনার পর তাঁকে এই সুবিধা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আসামি উচ্চশিক্ষিত, তাঁর মা-বাবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উন্নত পারিবারিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত-এসব বিবেচনায় নিয়ে হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। হুমায়ুন সুলতান যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের ছেলে।
গত সপ্তাহের সোমবার চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিন হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী হুমায়ুন সুলতানের জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষকে ১ এপ্রিলের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর খান টিপু সুলতানের ধানমন্ডির বাসায় চিকিৎসক শামারুখ মাহজাবিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে তাঁর বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক জেসমিন আরা ও তাঁদের ছেলে হুমায়ুন সুলতানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হুমায়ুন কারাগারে আছেন। আর খান টিপু সুলতান ও তাঁর স্ত্রী আগাম জামিনে আছেন। শামারুখ ২০১৩ সালে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
জেলকোড অনুযায়ী, কারাবন্দীদের দুই ধরনের মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রথমত সামাজিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জীবনযাপনের অভ্যাস ও সেই অনুযায়ী উচ্চতর জীবনযাপন এবং দ্বিতীয়ত কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাওয়া বন্দীদের আলাদা কক্ষ, বিছানা, টিভি, খাট, তোশক, মশারি, পত্রিকা প্রভৃতি সুবিধা দেওয়া হয়। খাবারও দেওয়া হয় উন্নতমানের।