‘শহীদের চেতনায় সমৃদ্ধ হতে হবে’
বিশেষ প্রতিনিধি : শহীদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাতে গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে সোহওরায়ার্দী উদ্যাগে বিজয়ী দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই। সেই সাথে পাকিস্তানিদের দোষর রাজাকার, আল বদর, হানাদারদের ঘৃণা জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ত্যাগের মহিমায় আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এক মুহূর্তের জন্যও এটা ভোলা যাবে না আমরা বিজয়ী জাতি, বীরের জাতি। আমরা মাথা নত করে চলি না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিলেন। তাই তাদেরকে লাখো সালাম জানাই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণও দিয়েছেন এখানেই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান।’
৭১ সালে একেকটি ঘর হয়ে উঠেছিল একেকটি দূর্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনার , ‘এ দেশে ৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে ও আওয়ামী লীগকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোলমডেল। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।’
২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ যেন যুগ যুগ ধরে এই আনন্দ উৎসব করে যেতে পারেন, সেটাই চাই। আর যেন কোনও অন্যায়-অবিচার দেশে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দেয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।