• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শরীফ বিরোধী দুর্নীতিবাজদের ঘুম হারাম


প্রকাশিত: ২:০৯ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২২ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৩ বার


কোর্ট রিপোর্টার : সম্প্রতি আলোচিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আপনাদের চিঠি দিয়েছি। আপনারা এই চিঠিকে আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে যেকোনো আদেশ দিতে পারেন।

তখন আদালত বলেন, আপনি তো এসেছেন ব্যক্তিস্বার্থে, জনস্বার্থে নয়। জনস্বার্থে হলে চিঠি বিবেচনায় নেওয়া হয়।শিশির মনির বলেন, আমরা জনস্বার্থে এসেছি। কারণ, এ ঘটনায় দুদকের ইমেজ রক্ষার বিষয়টি রয়েছে। এটা সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। আমি কারও পক্ষে বিপক্ষে নই।তখন আদালত বলেন, আপনারা যদি সংক্ষুব্ধ হন তাহলে সব ডকুমেন্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রিট ফাইল করেন। আপনাদের চিঠি আমরা রেখে দিচ্ছি।

পরে আইনজীবী শিশির মনির গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আমরা রিট দায়ের করব। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের কারণ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টকে চিঠি দেন ১০ জন আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ ১০ জন আইনজীবী দুদকের মামলা বিচারের এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে এ চিঠি দেন। সে সময় শিশির মনির বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের অপসারণের কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা ১০ জন আইনজীবী হাইকোর্টকে চিঠি দিয়েছি। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে চিঠি দেওয়া হয়।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দিন। এরপরই একাধিক মহলের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি পাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিসি টিভির ফুটেজসহ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। তাকে অপসারণের পর থেকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এরপর দুদক শরীফের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে। পরে পাল্টা লিখিত জবাব দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন শরীফ।

১ .’দক্ষিণ আফ্রিকার’ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে

নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা পরিস্থিতি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশটির জনজীবন। সংক্রমণ আর মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সেখানকার নাগরিক এবং প্রবাসীদের মধ্যে।নিয়ন্ত্রণে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা পরিস্থিতিদক্ষিণ আফ্রিকায় কমে গেছে প্রাণঘাতী ওমিক্রনের দাপট। নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের লাগাম। সংক্রমণের হার কমার পাশাপাশি কমে গেছে মৃত্যুর মিছিলও। এতে আতঙ্ক কিছুটা কেটে যাওয়ায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে দেশটির জীবনমান।

দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কেটে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য আবারও আগের মতো চাঙা হবে বলে আশাবাদী প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।
দেশটির জনগণের ব্যাপক হারে টিকা গ্রহণই সংক্রমণ রোধে সফলতার কারণ উল্লেখ করে টিকা গ্রহণের প্রতি আবারও গুরুত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা। দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি কোম্পানি এসপ্যাক এবং বায়োডেক নিজস্ব অর্থায়নে টিকা উৎপাদনের কথা জানান প্রেসিডেন্ট।দক্ষিণ আফ্রিকায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ। আর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯৭ হাজার।করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৩ হাজার ৯৪০ জন।

২. এসে গেল ‘ভালোবাসা দিবস’

ভালোবাসা দিবসটি যে মানুষটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তার নাম সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন। কথিত রয়েছে, তৃতীয় শতকে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের শাসনকালে তিনি রোমের যাজক হিসেবে কাজ করতেন। যদিও এই দিনটি আমরা সুখ, আনন্দ আর ভালোবাসার মধ্যে থেকে পালন করি, তবে এই দিনটির পেছনে লুকিয়ে আছে এক করুণ প্রেমের ইতিহাস।১৪ ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতেই ভালোবাসার এই দূতকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন সেই সময়ের রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস। তার মৃত্যুর আসল কারণ আজও সবার কাছে রহস্য হয়েই আছে।মধ্যযুগে রোম থেকে ইংল্যান্ডে ভ্যালেন্টাইনের নাম ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে তিনি হয়ে ওঠেন সবচেয়ে জনপ্রিয় সেইন্টদের একজন। তাই বর্তমানে যে ভ্যালেন্টাইন ডে উদ্‌যাপিত হয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে খ্রিষ্টান ধর্ম ও প্রাচীন রোমের ঐতিহ্য।

অনেকেই মনে করেন, ভ্যালেন্টাইন দিবসটি এসেছে দেবতাদের রানি জুনো থেকে। প্রাচীন রোমে দেবতাদের রানি জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোনো বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারো তরুণের মেলায় র‌্যাফেল ড্র-র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাঙ্কিত কাগজের সি­প জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সি­পের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনো এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হতো এবং ভালোবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াত। ওই দিনের শোকগাথায় আজকের এই ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’।তবে সবচেয়ে বেশি যে জনশ্রুতি আছে তা হলো, ভ্যালেন্টাইনের জীবনের কাহিনি। ভ্যালেন্টাইন ছিলেন একজন সহানুভূতিসম্পন্ন, বীর ও রোমান্টিক মানুষ হিসেবে। অন্যদিকে রোমান সম্রাট ছিলেন তার ঠিক উল্টো। সেই সম্রাট রাজ্য শাসনের সময় অনুধাবন করলেন যে, বিবাহিত সৈন্যদের চেয়ে অবিবাহিত সৈন্যরা বেশি কর্মঠ। তাই হঠাৎ একদিন তিনি ঘোষণা দিলেন, তরুণরা বিয়ে করতে পারবে না। যুক্তি হিসেবে তিনি তুলে ধরেন, বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিত পুরুষরা সেনা হিসেবে বেশি সক্ষম।

ক্লডিয়াসের এই ঘোষণা মেনে নেননি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি গোপনে তরুণ যুগলদের বিয়ে দিতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে রোমান কারাগার থেকে খ্রিষ্টান বন্দিদের পালাতেও সাহায্য করেন। ক্লডিয়াসের কানে এ খবর পৌঁছে গেলে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন তিনি। ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টের জন্মের ২৭০ বছর পর মৃত্যু হয় ভালোবাসার বার্তাবাহী এই সেইন্টের।অন্য এক শ্রুতি অনুসারে, মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে ভ্যালেন্টাইনকে কারাদণ্ড দেন ক্লডিয়াস। সেখানে তার পরিচয় হয় এক কারারক্ষীর মেয়ের সঙ্গে। যে মেয়েটি ছিল অন্ধ। তার প্রেমে পড়েন সেইন্ট।
মৃত্যুদণ্ডের দিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। চিঠির শেষে স্বাক্ষরের জায়গায় তিনি লিখেছিলেন, ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন। মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখল। তার অন্ধ দুই চোখে তখন ঝলমলে আলো। এর ফলে, ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখকে ভ্যালেন্টাইন ডে ঘোষণা করেন। সেই থেকে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করছে সারা বিশ্বের মানুষ।

হারিছের হদিস নিচ্ছে গোয়েন্দারা

স্টাফ রিপোর্টার : ইন্টারপোলের রেড এলার্ট প্রাপ্ত হারিছের হদিস নিচ্ছে গোয়েন্দারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব পলাতক হারিছ চৌধুরী জীবিত না মৃত তা নিশ্চিত হতে তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তার মেয়েকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে খবরও বেরিয়েছে।এর পরই বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশ সদর দফতর থেকে সিআইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তবে হারিছের পরিবারের দাবি, গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তাকে ঢাকার কাছে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে হারিছ চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে এখনো আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তার নামে রেড নোটিস ঝুলছে। সিআইডি সূত্র জানায়, ১৯ জানুয়ারি হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিশ্চিত হতে সিআইডিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ জানুয়ারি সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে সিরিয়াস ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান খান বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে তদন্তের জন্য অনেক চিঠি আসে। ওই বিষয়ে তদন্তের জন্য চিঠি আসছে কি না দেখতে হবে।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে আত্মগোপনে চলে যান হারিছ চৌধুরী। এর পর থেকে তাকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি করা হয়। ১৪ বছর ধরে এই নোটিস ঝুললেও তার অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না বা তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত নই ওই আসামি মারা গেছেন কি না। গণমাধ্যমে এ ধরনের খবর আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিআইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি তদন্ত করেছিল সিআইডি। ওই সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরীসহ ওই মামলার পলাতক কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির আবেদন করা হয় ইন্টারপোলে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি যাচাই-বাছাই শেষে এই নোটিস তাদের ওয়েবসাইটে দেয়। এখন তদন্ত শেষে সিআইডি যদি ওই আসামির মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে, তাহলে ওই নোটিস সরানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিস বাতিলের জন্য হারিছ চৌধুরীর পরিবার মৃত্যুর সংবাদ ছড়াচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দুই ধরনের বক্তব্য আসে। তার চাচাতো ভাই দাবি করেছেন, হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন। আবার তার মেয়ে দাবি করেন, ঢাকাতেই মারা গেছেন তিনি।

ইসি গঠনে দুই পরিবর্তনের সুপারিশে বিল

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে করা আইনের খসড়ায় দু’টি পরিবর্তনের সুপারিশ করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে পরিবর্তনের এ সুপারিশ করেছে কমিটি।কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বুধবার বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।এর আগে বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ গত রবিবার সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছিল— ‘সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।এ ধারায় কিছুটা সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত পদ বা পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

এ ছাড়া অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায়ও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছিল, ‘নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।’ এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে শুধু ‘কারাদণ্ড’ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে যে কোনো মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।সংসদের নিয়মানুযায়ী, এখন সংসদের আগামী বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রস্তাবের পর সংসদ সদস্যরা বিলটি নিয়ে আলোচনা ও সংশোধনী প্রস্তাবের সুযোগ পাবেন।

ভারতে গত এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা সর্বনিম্ন হার ?

সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ লাখ ৫৫ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে এ সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার কম।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মারা গেছে ৬১৪ জন। এর মধ্যে ১৭১ জনই মারা গেছেন কেরালায়। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৩ জন।১০ দিনে ভারতে করোনা শনাক্তের হার কমেছে ২০ ভাগ। ১৫ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩০ ভাগ। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে করোনা শনাক্তের হার ১০ ভাগ। জায়েদ-নিপুণ দ্বন্দ্ব: যে আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জায়েদ-নিপুণ দ্বন্দ্ব: যে আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ

আল কাছির
২ মিনিটে পড়ুন

একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতিবস্থাও বহাল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

এর আগে গতকাল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

আরও পড়ুন: জমি দখলের অভিযোগে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।

আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।