বিএনপি নেতাদের দরকষাকষি!
বিশেষ প্রতিনিধি : শপথ নিতে বিএনপি থেকে নির্বাচিত নেতারা এবার দরকষাকষি শুরু করছেন? এই নেতারা সংসদে যোগ দেয়ার বিনিময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইছেন। যদিও খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির সংসদে যাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার একটি বিষয় অনেক দিন থেকেই শোনা যাচ্ছে। বিএনপি বিষয়টি গুজব বললেও তলে তরে তারা অনেক দূর এগুচ্ছেন। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জাতিরকন্ঠ কে বলেছেন, শপথ নিয়ে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তিসহ কয়েকটি বিষয়ে বিএনপির মধ্যে হিসাব-নিকাশ চলছে।১৫ এপ্রিল নির্বাচিতরা একটি বৈঠকও করেছেন।জানা গেছে, বিএনপির নির্বাচিত হলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হারুন উর রশিদ, মোশাররফ হোসেন, আবদুস সাত্তার, আমিনুল ইসলাম ও জাহিদুর রহমান।
এই নির্বাচিতরা বিএনপি নেতারা মহাসচিবের কাছে জানতে চেয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কী করা হচ্ছে? দল কী করছে? নির্বাচিতরা শপথ নেবেন কি না? প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের অপেক্ষা করতে বলেছেন বলে জানান নেতারা। সোমবার বিএনপির গুলশান অফিসে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে বৈঠক করেন নির্বাচিতরা। সেখানে শপথ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ও দলের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান বলেন, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছি তাদের মধ্যে পরিচিতি ও সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল সোমবার। মহাসচিব বাদে বাকি পাঁচজন যাঁরা আছি তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা, কে কী অবস্থায় আছি, এলাকায় কী হচ্ছে, এগুলো নিয়েই কথা বলেছি আমরা।তিনি বলেন, সরকারের অবস্থান বা দলের অবস্থান কিছু বুঝতেছি না। তারপর এলাকায় জনগণের চাপ আছে। তাই ঢাকায় এক সঙ্গে হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম।
জান গেছে, শপথ নেওয়ার জন্য এ মাসটাই হাতে আছে। এর মধ্যেই বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট থেকে এবার নির্বাচন করে বিএনপি। সেখানে গণফোরামের দুজন শপথ নিয়েছেন। বিএনপি থেকে নির্বাচিতরাও চাচ্ছেন সংসদে যেতে। তবে তাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চান না। খালেদা জিয়ার জামিন হবে, সেদিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা। নির্বাচিত সদস্যরা এবং বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি এখন সরকারের ওপর নির্ভর করছে এবং দলকেও সে অনুযায়ীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।