লোভে নিষিদ্ধ নাসির
স্পোর্টস রিপোর্টার : অবশেষে লোভে নিষিদ্ধ হলো ক্রিকেটার নাসির। আইসিসির নীতিমালার ২.৪.৩, ২.৪.৪ এবং ২.৪.৬ ধারা মিলে মোট ৯টি দারালংঘন করেছেন নাসির। ২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগ খেলতে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নিয়েছিলেন তিনি। ওই সময় ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের আই ফোনের সেই উপহার নেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি নাসির।
পরে আবুধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে তিনি দুই বছরের শাস্তি পেলেও সেখান থেকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করেছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ফলে দেড় বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হবে নাসিরকে।
আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের আনা দুর্নীতি বিরোধী কোড ভঙ্গের তিনটি অভিযোগ নাসির মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের এই আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবুধাবির টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে আইসিসির সন্দেহে আসেন নাসির।
আইসিসির নীতিমালার ২.৪.৩, ২.৪.৪ এবং ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গ করার নাসিরের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগ খেলতে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নিয়েছিলেন তিনি। ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের সেই উপহার নেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি নাসির। এরপর মোট ৩টি ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে আইসিসি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই শাস্তির ঘোষণা করা হয়।
২০১১ থেকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন নাসির। যেখানে ২৬৯৫ রানের পাশাপাশি ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সব শর্ত পূরণ করতে পারলে নাসির ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য যোগ্য হবেন।
আইসিসি নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল গত সেপ্টেম্বরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালের আসরের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হলেও সেটি ব্যাহত হয়—এমনটাই জানিয়েছিল সেসময়। নাসিরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল আইসিসি। তাদের মধ্যে একমাত্র নাসিরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।