• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

লেটুসপাতা-হার্টএ্যাটাক থেকে বাঁচায়-হৃৎপিণ্ডে শিরায় চর্বি জমতে দেয়না


প্রকাশিত: ৩:৪৮ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৬৫ বার

ডা. শহিদুল্লাহ  :  লেটুস একটি পাতা জাতীয় সবজী। এ পাতার বৈজ্ঞানিক নাম লাকটুসা স্যাটিজ এল। llসাধারণত সালাদ, বার্গারের ভেতরে বা স্যান্ডউইচের মাঝে আমরা লেটুস পাতা খেয়ে থাকি।
লেটুস কাঁচা ও রান্না উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। এতে নানা রকম ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে একেবারে কম ক্যালরি।

লেটুসপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন আছে। এ দুটি উপাদান কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনকে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। ফলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। শুধু তাই নয় হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এ পাতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুসে রয়েছে ১৫ ক্যালোরি, ২৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৯৪ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ২.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম।

এছাড়া লেটুস পাতায় আর কী কী গুণ রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো:

* কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

* লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া ওজন কমাতে এ পাতা দারুন কাজ করে।

* লেটুসপাতা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমে যাওয়া রোধ করে। এ পাতায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে ত্বকের বলিরেখাও পড়ে না।

* ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।

* ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড়ে গেলে এ পাতা থেঁতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়।

* লেটুসপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লেটুসপাতা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যানমিয়া বা রক্তশূন্য রোগীদের জন্য লেটুসপাতা উত্তম খাবার।

* লেটুসপাতা ভিটামিন কে আছে। ভিটামিন কে হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। লেটুসপাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

* লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা উপকারী।

* গর্ভবতী নারীরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে।

* চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমায় লেটুসপাতা।

* লেটুসপাতা খুশকি কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়াভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।