লুটেরা জাফর ঘড়িতে ধরা!
কক্সবাজার/ চকরিয়া সংবাদদাতা : ভোটের আগেই খবর খারাপ এমপি জাফরের। এলাকায় বলাবলি হচ্ছে কক্সবাজার-১ এমপি জাফর আলম কে লালকার্ড রেডি করেছে ভোটাররা। এবার তারা ঘড়ি প্রতিকে আস্থা রাখবেন। সরজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয়রা এই আসনটিতে হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বর্তমান সংসদ সদস্যকে লালকার্ড দেখিয়ে দেবেন সাধারণ ভোটাররা; এমন জোর গুঞ্জন চায়ের দোকানসহ এলাকার সব জায়গায়।
এলাকাবাসী জানান, জয়ের হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। কারণ বর্তমান সংসদ সদস্য ও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সবাই চাচ্ছেন পরিবর্তন ও উন্নয়ন।ভোটাররা বলছেন, তারা জাফর বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অতিষ্ঠ। তারা এর থেকে নিস্তার চান। তাদের পছন্দ ক্লিন ইমেজের সৈয়দ ইবরাহিম।
প্রায় শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক জাফর আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি ও জলমহাল দখল, মাদককারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে ২৩টি দলিলে ২৪ একর জমি নামে-বেনামে কিনে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া চকরিয়া ও পেকুয়ায় তিনটি মার্কেট রয়েছে তাঁর, গাড়ি রয়েছে কয়েকটি। দলীয় সভানেত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য, যাকে তাকে তুলে এনে নির্যাতন, অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি, জোরপূর্বক অন্যের জমিদখলসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়িয়েছে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের নাম।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পেশি শক্তি ও অবৈধ উপায়ে কামিয়েছেন শতকোটি টাকা। এমপি জাফর আলম, তার স্ত্রী ও ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকীর লুটপাটের মহোউৎসবে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের (চকরিয়া ও পেকুয়া) পাঁচ লাখ মানুষ এই জনপ্রতিনিধির হাত থেকে মুক্তি চান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ জাফর আলমের নানা বির্তকিত কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ কক্সবাজার-১ আসনের সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন তার জুলুম অত্যাচার চললেও মানুষ মুখ খুলতে পারতেন না। এবার জাফর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে সরকারি বনভূমি দখল, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখলের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে মানুষের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের ঘটনা বেশ আলোচিত।
অভিযোগ আছে, গত ১৫ আগস্ট দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেন তিনি। এসব অপকর্মের কারণে দল তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেওয়া হয়নি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। তাকে প্রতিহত করতে এখন দুই উপজেলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে জাফর আলমের সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বেড়েছে স্ত্রী ও পুত্রের সম্পদও। চকরিয়া-পেকুয়ায় তাঁর কথাই যেন আইন! রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। পাহাড় কাটা, নদী দখল ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ওই বাহিনীকে কাজে লাগান তিনি।
গত ১৫ আগস্ট অস্ত্রধারীর পাশে দাঁড়িয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন এমপি জাফর আলম। স্ত্রী শাহেদা বেগমের নামে ক্রয় করা জমি দখল নিতে সোহেল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হন। এ পর্যন্ত জাফর আলমের নেতৃত্বে মিছিল থেকে তার বাহিনী গুলি চালিয়ে অন্তত প্রতিপক্ষের পাঁচজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করেছে। তার ভাতিজা জিয়াবুল হক ও ভাগিনা মিজানুর রহমান গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্বে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এদিকে গত ১৯ ডিসেম্বর পেকুয়ার একটি নির্বাচনি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সমালোচনা করেন জাফর আলম। পরে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতিও পান।
২০১৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাফর আলম। অল্প সময়ে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমপি হওয়ার পাঁচ বছরে বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে দশ গুণ। তাঁর স্ত্রী শাহেদা বেগম স্কুল শিক্ষিকা। স্বামী এমপি হওয়ার পর ফুলে ফেঁপে উঠেছে তাঁর সম্পদও। এবারের নির্বাচনি হলফনামায় তার সম্পদের পরিমাণ উঠে এসেছে।
অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমপি জাফর আলম ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ে জাফর আলম, তাঁর স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভির সিদ্দিকী তুহিন ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানায়, জাফর আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি ও জলমহাল দখল, মাদককারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে ২৩টি দলিলে ২৪ একর জমি নামে-বেনামে কিনে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া চকরিয়া ও পেকুয়ায় তিনটি মার্কেট রয়েছে তাঁর, গাড়ি রয়েছে কয়েকটি। সব মিলিয়ে প্রায় শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি।এমপি জাফরের এসব লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
সরেজমিনে জানা গেছে, দখল, চাঁদাবাজি, মাদককারবারি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমপি জাফর আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় জাফর আলমের বার্ষিক আয়, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৯৩ টাকা। যেখানে তার নিজের নামে ছিল ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৩ টাকার সম্পদ আর স্ত্রীর নামে ছিল ৬২ হাজার ৪০ টাকার ৫০০ টাকার সম্পদ। যৌথ মালিকানা বা তার আয়ের ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না।
২০২৩ সালে এসে তার বার্ষিক আয়, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৫ টাকা। যেখানে রয়েছে তার নিজের নামে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯ টাকার সম্পদ। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ২৫৪ টাকা, যৌথ মালিকানায় রয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩৫৭ টাকা এবং তার আয়ের ওপর নির্ভরশীলদের রয়েছে ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৬০৩ টাকার সম্পদ। হলফনামার তথ্য বলছে, এমপি জাফর আলমের পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৭ গুণ।
এমপি জাফর আলম পেকুয়ায় সরকারি জলাশয় ও ড্রেন ভরাট করে তাঁর মেয়ে তানিয়া আফরিন ও তাঁর স্বামীর নামে নিউমার্কেট নির্মাণ করেছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় আট কোটি টাকা। এই মার্কেট নির্মাণে সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালীর মো. আলমগীরের এক একর জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে এই সাংসদের বিরুদ্ধে।
মো. আলমগীর বলেন, ‘২০১৫ সালে জায়গাটি ক্রয় করি। পাঁচ বছর আমার ভোগদখলে ছিল। জাফর আলম এমপি হওয়ার পর ২০২০ সালে আমার সেই জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন। তাঁর ক্যাডার বাহিনীর কাছে তখন অসহায় ছিলাম। পরে এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করি।’ এই মার্কেট নির্মাণে পেকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও পাঁচ মিটার প্রস্থের রাস্তাটিও দখল করার অভিযোগ উঠেছে এমপির বিরুদ্ধে। এতে ১২-১৫টি পরিবার অবরূদ্ধ হয়ে পড়েছে।
অন্যের জমি দখল করে চকরিয়া পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছেলে তুহিন ও মেয়ে তানিয়ার নামে আরেকটি মার্কেট নির্মাণ করছেন এমপি জাফর আলম, যার বাজার মূল্য দুই কোটি টাকা। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তানিয়া আফরিনের নামে দুই একর জমি কিনে তা ভরাট করে দখলে নিয়েছেন। এটির মূল্য দুই কোটি টাকার বেশি। তানিয়া আফরিন ও তুহিনের নামে পৌরসভার চিরিংগার বিভিন্নস্থানে জায়গা ক্রয় করেছেন। এসব জমি অনেকটা জমির মালিককে বিপদে ফেলে জমি ক্রয় করে থাকেন। সিস্টেমপ্লাজা নামে আরেকটি মার্কেট রয়েছে তাঁর, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। স্ত্রী শাহেদা বেগমের নামে রয়েছে শফিংমল শাহেদা কমপ্লেক্স। এছাড়া ছেলে তুহিনের নামে তিনি তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এমপি জাফরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হলো, তিনি চকরিয়া বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশে জলাশয় দখল ও ভরাট করে কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেছেন। রামপুর মৌজায় গ্রামীণ ব্যাংকের নামে বরাদ্দ ৩০০ একরের চিংড়ি প্রজেক্ট এক চেয়ারম্যানকে দিয়ে রাতারাতি দখল করে নিয়েছেন। বরইতলী-মগনামা সড়কে নবনির্মিত বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সড়কে মাটি দেওয়ার নাম করে মছনিয়া কাটা এলাকায় সাবাড় করেছেন বিশাল পাহাড়। ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পড়ানোর আড়ালে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে এমপি জাফরের বিরুদ্ধে। পেকুয়ায় একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের সরঞ্জাম রাখা হয়েছে উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে। এতে খেলার মাঠে আর খেলা হচ্ছে না। দুই বছর ধরে এই অবস্থা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবালের দাবি, এমপি জাফরের নির্দেশনায় অস্থায়ীভাবে তারা সেখানে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন। তবে স্থানীয় ক্রীড়ামোদীরা বলছেন, বড় লেনদেনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খেলার মাঠটি ব্যবহার করতে দিয়েছেন এমপি জাফর। পুরো মাঠে এখন ইট-বালু ও কংক্রিটের স্তুপ। জিমনেশিয়ামটি থাকার জন্য ব্যবহার করছেন শ্রমিকরা।
অভিযোগ রয়েছে, মতের অমিল হলে দলের লোককেও ছাড় দেন না সংসদ সদস্য জাফর আলম। তাঁর কারণে চকরিয়া-পেকুয়ায় আওয়ামী লীগে বিভক্তি। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোটে জয়ী হলেও এখন দলের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না তিনি।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এস এম গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গেল ইউপি নির্বাচনে এমপি জাফরের কারণেই নৌকার অধিকাংশ প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। চকরিয়া-পেকুয়ার আওয়ামী লীগে বিভক্তি হয়েছে তার কারণে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপিত ফজলুল করিম সাঈদীর অভিযোগ, ‘চকরিয়া-পেকুয়ার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন এমপি জাফর আলম। তাদের দিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তিনি করছেন না।
ফজলুল করিম সাঈদী আরও বলেন, এমপি তাঁর বাহিনী দিয়ে শতকোটি টাকার জমি দখল করেছেন। প্যারাবন কেটে দখল করেছেন প্রায় দুই হাজার একর চিংড়ি চাষের জমি। নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি বলেন, জাফর আলম এমপি হওয়ার পর চকরিয়া-পেকুয়ার সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারী ও ডাকাতদের নিয়ে ‘জাফর লীগ’ গঠন করেছেন। জায়গা দখল, পাহাড় কাটা ও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাঁর বাহিনী। এমন কোনো অপরাধ নেই যেটি তাঁর বাহিনী করছে না। ভয়ে কেউ মুখও খুলতে পারছেন না।
গত বছরের ১৫ আগস্ট চকরিয়া পৌরশহরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে সংঘর্ষের সময় মিছিলে অস্ত্রধারীদের সঙ্গে ছিলেন এমপি জাফর আলম। সেই মিছিল থেকে করা গুলিতে ফোরকান নামে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি পরা সংসদ সদস্য জাফরকে মাঝখানে রেখে শহরে মিছিলটি হয়। মিছিলের সামনে হেলমেট, হাফহাতা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক ব্যক্তির হাতে ছিল ভারী অস্ত্র। তার পেছনে ছিলেন জাফর আলম, তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক জয়নাল হাজারী। তাদের পাশে কালো পাঞ্জাবি ও হেলমেট পরা আরেকজনের হাতে অস্ত্র হাতে দেখা যায়।