• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

লুটপাটে ওয়ান্টেড পপুলারের এমডি


প্রকাশিত: ১:৩০ এএম, ২৪ অক্টোবর ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৫ বার

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এম ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির এবং জ্যেষ্ঠ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর ফিরোজের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে।


বিশেষ প্রতিনিধি  :  পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির এমডিসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আদালতকে দুদক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, এই চারজনের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে। চারজন হচ্ছেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এম ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির এবং জ্যেষ্ঠ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর ফিরোজ।

তাঁদের বাইরে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মির্জা আজম এবং সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তাঁর স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বুধবার ২৩ অক্টোবর এ আদেশ দেন। দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) আমিনুল ইসলাম।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের চার কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী, বি এম শওকত আলী, মোস্তফা হেলাল কবির ও আলমগীর ফিরোজের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন। আবেদনে বলা হয়, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এম ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী ও মোস্তফা হেলাল কবির এবং জ্যেষ্ঠ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর ফিরোজের যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে। এ ছাড়া এই চারজনের কানাডাতেও বাড়ি থাকার অভিযোগ রয়েছে। চারজন দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

মির্জা আজম-নিক্সনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

আদালত ও দুদকসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন। আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে–বেনামে দেশে–বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, মির্জা আজম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আদালত শুনানি নিয়ে মির্জা আজমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

এ ছাড়া মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন। আবেদনে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। নিক্সন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।