• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লিভটুগেদার করতে ফেঁসে গিয়ে ধরা পরিচালক বৈরাগীর আর্তনাদ


প্রকাশিত: ৭:১২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০২ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : লিভটুগেদার করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন পরিচালক ফখরুল হাসান বৈরাগী।এরপর ওই নারীর নানা 33ফাঁদে পড়ে আর্তনাদ করেও নিস্তার পাননি তিনি।শেষমেষ নিজের নিরাপত্তায় আগের স্ত্রীর ছেলেদের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নিখোঁজ সংবাদের কারণে শেষমেষ তাঁকে প্রকাশ্য হতে হয়।

অবশেষে খোঁজ মিলেছে অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগীর। আর এর মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে তার অন্তর্ধান রহস্যের। তিনি নিজেই ফাঁস করেছেন ব্যক্তিগত জীবনের চমকপ্রদ তথ্য।বলেছেন, ‘দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার রাজিয়া হাসানের সঙ্গে ২৯ বছর ধরে তিনি লিভ টুগেদার করছেন।

এত বছর তার সঙ্গেই ছিলেন। একপর্যায়ে তার মানসিক যন্ত্রণা তাকে (ফখরুল হাসান বৈরাগী) অতিষ্ঠ করে তোলে। আর তাই তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে প্রথম পক্ষের সন্তানদের কাছে চলে যান। এখন থেকে তিনি তাদের সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

৪১ দিন রহস্যজনকভাবে নিজেকে আড়ালে রাখার পর সোমবার সকালে কলাবাগান থানায় এসে হাজির হন ফখরুল হাসান বৈরাগী। পুলিশকে তিনি বলেন, ‘আমি নিখোঁজ নই। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি স্বেচ্ছায় আমার প্রথম পক্ষের ছেলেদের কাছে আছি।’

পরে দুপুরে তাকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর রাজিয়া হাসানের সঙ্গে লিভটুগেদার করতাম। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও তার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনের আইনগত কোনো রেকর্ড নেই।

ফখরুল হাসান বৈরাগী বলেন, ২৯ বছর ধরে তিনি রাজিয়া হাসানের সঙ্গেই মোহাম্মদপুরের বাসায় বসবাস করে আসছেন। এ ঘরে তার ঔরসের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তার নাম সামন্ত হাসান।

বৈরাগী জানান, আগের পক্ষের তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রথমে তারা তার সঙ্গেই থাকতেন। কিন্তু রাজিয়া হাসান নানা কারসাজি করে একসময় দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। তিনি বলেন, তারা এখন কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায় থাকে। বৈরাগী বলেন, পারিবারিক কলহ ও রাজিয়া হাসানের অমানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি ৭ আগস্ট সকাল ৮টায় ছেলেদের কাছে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই ছিলেন।

মিডিয়া সেন্টারে ফখরুল হাসান বৈরাগী সাংবাদিকদের বলেন, গত পরশু আমি লোক মারফত খবর পাই, আমি নিখোঁজ এমন একটি খবর এসেছে একটি অনলাইন পোর্টালে। খবরটি পড়ে আমি বুঝতে পারি এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। তিনি বলেন, আমি নিখোঁজ নই। আমি অপহৃত নই। কেউ আমাকে আটকিয়েও রাখেনি। আমি স্বেচ্ছায় রাজিয়া হাসানের বাসা থেকে এক কাপড়ে চলে এসেছি। এ ধরনের একটি ভিডিও ক্লিপ একটি গণমাধ্যমে পাঠাই। এরপরও বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আমার নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশ করছে দেখে আমি বিষয়টি খোলাসা করার জন্য পুলিশের শরণাপন্ন হই।

বৈরাগী বলেন, আমি পারিবারিক কলহের কারণে ছেলেদের কাছে চলে গেলেও চুপচাপ ছিলাম যাতে আমাদের পারিবারিক ব্যাপার অন্য কেউ না জানে। আত্মীয়স্বজনদেরও আমি সেইভাবে জানাইনি। পরে খবর প্রচারের পর আমি সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করি। বলি, আমি কেরানীগঞ্জে আমার দুই ছেলের কাছে আছি।

তিনি বলেন, রাজিয়া হাসানের ভূমিকা আমার কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো সে আরও অনেক কিছু করতে চাইবে। হয়তো আমার জীবনেরও হুমকি হতে পারে। এ ব্যাপারেও আপনাদের সহযোগিতা চাই।ফখরুল হাসান বৈরাগী বলেন, ‘রাজিয়া হাসানের গর্ভে আমার ঔরসের এক ছেলে রয়েছে। আর মেয়েটি হচ্ছে দত্তক আনা। সে রাজিয়া হাসানের বোনের মেয়ে। তাকে নিজের মেয়ে পরিচয়েই আমি মানুষ করেছি।’

ফখরুল হাসান বৈরাগীর অভিযোগের বিষয়ে রাজিয়া হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলছি না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) ডেকে এনে বিস্তারিত জানাব।

এর আগে রাজিয়া হাসান শনিবার অভিযোগ করেছিলেন, ৭ আগস্ট সকালে ছেলে সামন্ত হাসানকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে বাসায় আসেন ফখরুল হাসান বৈরাগী। এরপর বাসার দারোয়ানের কাছে চাবি রেখে আবার বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।