লিটনকে খুন করেছে জামায়াত-শিবির-গিনি
রংপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশে গাইবান্ধা জেলার এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে হামলার লক্ষ্য হিসেবে পরিণত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। কিন্তু কিছুদিন আগে এমপি মিস্টার ইসলামের ছোড়া গুলিতে এক শিশু গুরুতর আহত হওয়ার পর সেখানকার স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দলের বিষয়টিও সামনে উঠে এসেছিল।
তবে মিস্টার ইসলামের এই হত্যাকাণ্ডের পর গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি বলেছেন “এটা কাপুরেুষোচিত হত্যাকাণ্ড। জামায়াত-শিবির আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারাই এ কাজ করেছে”।
“লিটনের শত্রুই ছিল জামায়াত-শিবির। ছাত্র রাজনীতি যখন করতো তখন থেকে জামায়াতকে প্রতিহত করতে করতে সুন্দরগঞ্জে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর জামায়াতের চক্রান্তের মধ্যেই সংসদ সদস্য পদটা ধরে রেখেছিল”-বলছিলেন মাহবুব আরা গিনি।
“কিছুদিন আগে একটা শিশুর পায়ে গুলি লাগার ঘটনায় মিডিয়াতে এমন অবস্থা করা হয়েছিল সে যে জামায়াত-শিবিরের চক্রান্তের শিকার এটা কিন্তু কেউ মানতো না। আজকে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন জীবন দিয়ে সেটা প্রমাণ করে গেল।”
২০১৫ সালে সৌরভ নামের ওই শিশুটির গুলিবিদ্ধ হবার ঘটনার পর মি: ইসলামের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দিতে হয়েছিল। হত্যা-চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন জামিনে ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মাহবুব আরা গিনি বলছিলেন “ওই সময়ে জামায়াত-শিবিররা যে তাকে অ্যাটাক করেছিল, সে যে গুলিটা ছুড়তে গিয়ে শিশুটির গায়ে লেগেছিল-এটা কিন্তু কেউ বলেনি। লিটন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেল যে সেই সত্য ছিল”।
সুন্দরগঞ্জে শিশুটির পায়ে গুলিবিদ্ধ হবার ঘটনার পর দলের মধ্যে কোন্দলের একটা চিত্রও সামনে উঠে এসেছিল। এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধার সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি বলেছেন -“যখন কোনও ক্ষমতাবান মানুষ বিপদে পড়ে সেই সুযোগটা কিন্তু অনেকে নিতে চায়।”
“আরেকজন মনে করে এই সময়ে নিজেকে জাহির করতে পারবো। এটা শুধু আমাদের দল নয়, সব দলেই আছে। ওই সময়ে তাই হয়েছিল কিন্তু দেখেন তখন যারা তার বিপক্ষে ছিল তারাই এখন সুন্দরগঞ্জে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলছে”।
“প্রত্যেক দলের মধ্যে ছোট ছোট মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু সেটা এ পর্যায়ে আসেনি যে আমরা কাউকে শেষ করে দিব। দলের মধ্যে কোন্দলের বিষয় খতিয়ে দেখার কিছু নেই । এটা জামায়াত-শিবিরই করেছে। “- বলছিলেন মাহবুব আরা গিনি। কিন্তু তদন্তের আগে কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কেন এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন তারা?
এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আরা গিনি বলেন “লিটন জামায়াতকে কোনঠাসা অবস্থায় রেখেছিল । লিটনের মৃত্যুতে কে লাভবান হবে?এতেইতো বুঝা যায় ঘটনাটা কে ঘটিয়েছে। জামায়াত-শিবিরই করেছে। এর ভুরি ভুরি প্রমাণও আছে”।
মাহবুব আরা গিনি আরও জানান “জামায়াতকে অভিযুক্ত করার পিছনে অনেক কারণ আছে। মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনও তার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল এবং তার অস্ত্রটা জমা দেয়ার পরও নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বারবার বলেছিল । কিন্তু আইনী প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে আমরা কোনও সাজেশন দিতে পারিনি”।