লাম্পট্যে ধরা বিপ্লব-ব্যায়ামাগারে গোপনে নারীর ভিডিও করছিল
বি-বাড়িয়া প্রতিনিধি : কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা এবং চুরি তো চুরি, আবার শিনাজুরি। মানে হলো, অপরাধ করেও সিনা মানে বুক ফুলিয়ে চলা। এরকম এক ভুক্তভোগী নারীর অবৈধ ভিডিও করে আবার তাকে মারধরের ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কথিত লম্পট বিপ্লব।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যায়ামাগারে আসা নারীর ভিডিও ধারণ এবং মারধরের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাল বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মৌলভীপাড়ার একটি ব্যায়ামাগারে এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, গতকাল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঘটনাটি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যায়ামাগারের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, ফিটনেস প্রশিক্ষক মিতু আক্তার ও সাইমকে আটক করে।
মামলায় বলা হয়, ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক মিতু আক্তারের আচরণে ভিডিও ধারণের ব্যাপারে সন্দেহ হয় ভুক্তভোগী নারীর। গতকাল বিকেলে মিতুর কাছে ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মিতু বিষয়টি ব্যায়ামাগারের পরিচালক বিপ্লবকে জানিয়ে এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এরই মধ্যে, সোহেল মিয়া নামের একজন ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বিপ্লব ও তার সহযোগীরা তাদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটায় এবং সেখানে আটকে রাখে। পরে সেখান থেকে সোহেল ও ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় চার জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।