লামায় বরিশাইল্যা জামাইয়ের বিকৃত লালসার শিকার শাশুড়ি !
লামা প্রতিনিধি : লামায় বরিশাইল্যা জামাইয়ের বিকৃত লালসার শিকার হলেন এবার শাশুড়ি ! নিজের মেয়ে জামাইয়ের কাছেই লালসার শিকার হয়েছেন বলে জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন ওই শাশুড়ি। তিনি বলেন, এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন অপকর্ম ঘটালো ওই পাষন্ড।
সরেজমিনে জানা গেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বরিশাল পাড়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে। লম্পট ঐ জামাই ঘরজামাই হিসেবে গত ৮ বছর ধরে একই বাসায় থাকতেন।
লালসার শিকার শাশুড়ি স্থানীয়দের জানিয়েছেন , গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আমি বাথরুমে যাই। সে সময় আমার স্বামী ঘুমিয়ে ছিলো। আকস্মিক আমার বড় মেয়ের জামাই আব্দুল হক (৩৫) অন্ধকারে পিছন থেকে আমায় জড়িয়ে ধরে ও শীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার দিলে সে আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘরে গিয়ে আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি জানাই।
তিনি আরও বলেন, ৩ বছর আগে আরেকবার সে একইরকম অপরাধ করে। শুধু মেয়ের জামাই, মেয়ের সংসার ভেঙে যাবে এবং লোকলজ্জার ভয়ে সেই বার চুপ করে ছিলাম। আমার বড় মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে ২০০৮ সালে তার বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একজন ছেলে আছে। তার নাম হৃদয় (৬)। মেয়ের জামাই মানে সন্তানের মতো। সেখানে তার বারবার এই কুরুচিপূর্ণ আচরণ আমাকে বাধ্য করেছে মুখ খুলতে। আমি ন্যায়বিচার পেতে আইনের আশ্রয় নেব।
ঘটনা প্রসঙ্গে লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, মনোয়ারা বেগম আমাকে অভিযোগ জানালে আমি বুধবার প্রাথমিকভাবে আব্দুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অস্বীকার করে। তারপরেও সত্য উদঘাটনের জন্য ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বারদের তদন্ত করে খতিয়ে দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।
এর আগে বুধবার সকালে ঘটনার শিকার ঐ শাশুড়ি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিনিধিদের সবাইকে বিষয়টি জানান । এই ঘটনার বিচারের জন্য এলাকার প্রতিনিধিরা অভিযুক্ত জামাইকে শালিসে ডাকার পর সে বিচারে না এসে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । পরে মনোয়ারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা জানায় বর্তমানে আব্দুল হক পলাতক রয়েছে।