• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘লাখো সন্ত্রাসী ঢুকেছিল’


প্রকাশিত: ৮:২৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

ঢাকায় জয়ের জন্মদিনে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ উদ্বোধনে পলক

 

বিশেষ প্রতিনিধি : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, সরকার দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীতে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হওয়া সংঘর্ষের মধ্যে ১৮ জুলাই রাত পৌনে ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজির) মধ্যে ১৮টির ডেটা এই তিনটি ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা। দুই দিন পর তাঁরা জানতে পেরেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কাঁচপুরে সাবমেরিনের কিছু কেব্‌ল ওপরের দিকে ছিল, সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ব্রডব্যান্ড সংযোগ ২৩ জুলাই চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট এখনো বন্ধ। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল রোববার সকালে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক হবে। আলোচনা সাপেক্ষে রোববার-সোমবারের মধ্যে ফোর-জি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

৩ দিনে ঢাকায় ঢুকেছে প্রায় ১ লাখ সিম
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে তিন দিন সহিংসতা হয়েছে, ওই সময় দেশের চিহ্নিত কিছু জায়গা থেকে প্রায় এক লাখ সিম ঢাকা ও এর আশপাশে ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, ২০১১, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিল। ওই সময় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, রংপুরের মিঠাপুকুর, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরার ২০টি স্পটে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। কিন্তু ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই সেসব জায়গায় কোনো সহিংসতা হয়নি।

ওই তিন দিন এসব এলাকা থেকে ঢাকার ১০–১৫টি জায়গায় প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নতুন সিম কার্ড ঢুকেছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলোর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, সেসব এলাকার বিএনপি, ছাত্রদল, জামায়াত ও শিবিরের চিহ্নিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা এ কয়েক দিন ঢাকামুখী ছিল। তাদের অবস্থান ছিল ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায়।