লাইভে হঠাৎ চুমু-যৌনশোষনের প্রতিবাদ
স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টার : লাইভে হঠাৎ চুমু-নিয়ে তোলপাড় চলছে ব্রাজিলে। আকস্মিক এ ঘটনাকে যৌনশোষন বলছেন সংশ্লিষ্ঠরা। প্রতিবাদ উঠেছে গোটা ব্রাজিলে।যদিও বিষয়টি মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। অপরিচিত একজন মানুষ এসে লাইভে উপস্থাপককে চুমু খেয়ে চলে যাবে বিষয়টি মোটেই স্বাভাবিক নয়।
তবে উপস্থাপক ডিয়ালট্রি বলেন, এটা অস্বস্তিকর ছিল। আমার এটার প্রয়োজন ছিল না কিন্তু তবুও হলো। ডিয়ালট্রি বলেন, আমি অপমানিত বোধ করি। ক্যামেরা চলা অবস্থায় যদি এটা আমার সঙ্গে হতে পারে তাহলে অন্য মেয়েদের অবস্থা কেমন সেটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আমি চুপ থাকতে পারিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে একটি খেলা চলছিল যখন-। স্বাগতিক ক্লাব ভাস্কোর অভিষেক ম্যাচ ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সাও জানুরিও স্টেডিয়ামে ভক্তদেরও আগ্রহের শেষ ছিল না। মঙ্গলবারের রাতের সেই ভীড়ের মধ্যে ব্রুনা ডিয়ালট্রি নামে উপস্থাপক লাইভের জন্য অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি যখন লাইভে স্টেডিয়ামের পরিবেশ টিভির দর্শকদের জন্য বর্ণনা করছিলেন, এমনি সময় খালি গায়ের এক ব্যক্তি হঠাৎ তার ঠোঁটে চুমু খেয়ে পেছনে চলে যান।এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থাপক চিৎকার করে ওঠেন। তবে হাজারো সমর্থকের উচ্ছ্বাসের মাঝে বিষয়টি স্বাভাবিক বলে মনে করেন অন্যর।
সে রাতেই ডিয়ালট্রি ঘটনাটি নিয়ে তার ফেসবুকে লেখেন ও ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে দেন। এরপর সেটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর ক্রীড়া সাংবাদিকতায় জড়িত নারীরাও তাদের দায়ীত্ব পালনের সময় বিভিন্ন বিব্রতকর পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। ক্রীড়া প্রোযোজক পাউলো পেরেইরা সিএনএনকে বলেন, কাউকে না কাউকে প্রথমে মুখ খুলতে হত। আর এই যৌন শোষণের ঘটনা সবখানেই চলছে। এ শোষণের বিরুদ্ধে সবার কথা বলতে হব।
এরপর আটজন নারীর উদ্যোগে #LetHerDoHerJob নামে হোয়াটসঅ্যাপে হ্যাশট্যাগে ঘটনার প্রতিবাদী হন। #মি টু ক্যাম্পেইনের আদলে তারা নারী সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করছেন। গ্রুপে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলের ও বাইরের আরো নারী সাংবাদিক ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সবাই মিলে কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের প্রতিবাদ করছেন।ঠিক ভিডিওর এই ঘটনাটিই নয়, বরং এ ধরনের অন্যসব ঘটনার বিরুদ্ধেই তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না হয় সেজন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।