লম্পট হেডমাস্টার হাতনাতে ধরা পড়ে..
সিরাজদিখান প্রতিনিধি : এক লম্পট হেডমাস্টার হাতনাতে ধরা পড়ে এখন শ্রীঘরে। জানা গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক তরুণীকে স্থানীয় জনতা স্কুলরুমে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে ক্লাশ বর্জন করে স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দুপুরে স্কুল পরিচালনা পরিষদ জরুরি সভা ডেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আটককৃত প্রধান শিক্ষক আবু মোতাহার মো. নিয়ামুল বাকী (৫০) ময়মনসিংহ জেলা সদরের মনোয়ার হোসেনের ছেলে। আটকতরুণী মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার পাটাভোগ ইউনিয়নের উত্তর পাইকসা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষক অনেক দিন ধরে স্কুলের দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণীকেতার থাকার রুমে নিয়ে যান। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয় জনতা রুম খুলে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে। ওই সময় এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১১টার দিকে সিরাজদিখান থানা পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ওই তরুণীকেউদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বালুচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এবি সিদ্দিক মন্টু বলেন, প্রধান শিক্ষক এর আগেও বিভিন্ন অপকর্ম করেছেন।
এ নিয়ে বিচার-সালিশ হয়েছে। আর এ ঘটনাটি একেবারে ন্যক্কারজনক। স্কুল কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, আমরা ঘটনাটি শুনি এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে অবগত হই। এ ঘটনায় আমরা দুপুরে কমিটির সদস্যরা মিটিং করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এছাড়া আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রী ও এক শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করার কথা শুনেছি। তবে সরাসরি কোনো অভিযোগ পাইনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, তাদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে রাত ১১টায় থানায় নিয়ে আসি। বুধবার সকাল ১০টায় আটক দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।