লন্ডন থেকে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মালিক
লন্ডনে প্রবাসী বিএনপির লড়াকু সৈনিক তারেক জিয়ার ঘনিষ্ট সহচর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ মালিক ১৯ বছর পর দেশের মাটিতে নামবেন
বিশেষ প্রতিনিধি : লন্ডনে প্রবাসী বিএনপির লড়াকু সৈনিক তারেক জিয়ার ঘনিষ্ট সহচর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ মালিক ১৯ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির এই সভাপতি আগামী ১৩ অক্টোবর (রোববার) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন বিএনপি নেতারা। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাবেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাবেন।
দীর্ঘদিন পর দেশের ফেরার প্রতিক্রিয়ায় এমএ মালিক দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল দেশের মাটিতে যেন তাকে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বাধায় আমার মায়ের মরদেহ দেশে নিতে পারিনি। এমন কি আমার বাবা ও ছোটভাইয়ের মরদেহও দেশে নিয়ে কবর দিতে পারি নাই।
শেখ হাসিনা সরকার আমার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমি পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছি। এখন দেশে ফিরলে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও রাজনৈতিক নেতাসহ সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হবে এটা ভেবে আমি খুবই এক্সাইটেড।
এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরবেন ছাত্রদলের ইউরোপ শাখার সাবেক সভাপতি প্রভাষক খলিলুর রহমান খোকন। তিনি জানিয়েছেন, ১১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যে থেকে রওনা দেবেন এমএ মালিক। ১২ অক্টোবর সৌদি আরবে পৌঁছে পবিত্র ওমরাহ হজ পালন করবেন। সেখান থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুরের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। এরপর ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি।
সে সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।