‘লন্ডনে ইউনূস তারেক বৈঠক পজেটিভ ম্যাসেজ’
বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। লন্ডন সফরকালে ড. ইউনূস এর সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক হলে সেটি হবে একটি পজেটিভ ম্যাসেজ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে ।
সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে।বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্রও সাক্ষাতের সম্ভাবনার কথা প্রথম আলোকে জানিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৩ জুন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে আজ গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। তাঁর সঙ্গে লন্ডন সফরে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হলে দেশের জন্য পজিটিভ মেসেজ। কিন্তু বৈঠক হবে কি না, তা এখনো ঠিক হয়নি। লন্ডনে গিয়ে বোঝা যাবে। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ। সফর শেষে আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।