• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

লন্ডনের ২৭ তলা ভবনে ভয়াবহ আগুন


প্রকাশিত: ১:১৭ পিএম, ১৪ জুন ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  পশ্চিম লন্ডনে লাটিমার রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। London fire-www.jatirkhantha.com.bd.1প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, ভবনে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে। ল্যানকেস্টারে ‘গ্রেনফেল টাওয়ার’ নামের ওই আবাসিক ভবনটিতে ব্রিটিশ সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া একটার দিকে আগুন লাগে। প্রায় দুইশোর মতো দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ২৭ তলা এ ভবনটিতে অন্তত ১২০টি ফ্লাট রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স জানাচ্ছে, ভবন থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া হতাহতের সংখ্যা বা ভবনে কিভাবে আগুন লাগলো তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

London fire-www.jatirkhantha.com.bd.1===তবে ভবনের বাসিন্দাদের নিয়ে স্বজনেরা চিন্তিত, অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তারা বেঁচে আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইছেন অনেকে। বিবিসির অ্যান্ডি মুর জানাচ্ছেন, পুরো ভবনটি আগুনে জ্বলছে এবং ভবনটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড ৪০টি ফায়ার ইঞ্জিন পাঠিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে-তারা ছাদের ওপর থেকে আলো নাড়ানো দেখেছে। তাদের ধারণা ভবনের লোকজন ছাদের ওপর থেকে টর্চের আলো দিয়ে সাহায্য চাইছে। আর্তনাদও তারা শুনতে পেয়েছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ছাদে আগুন পৌঁছাতে আর বেশি দেরী নেই।অন্যদিকে সংবাদদাতা অ্যান্ডি মুর বলছেন ভবন থেকে ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখছি। আমরা বড় বিস্ফোরণের শব্দও শুনেছি। কাঁচ ভাঙার শব্দও পেয়েছি।

বিবিসির সাইমন লেডারমেন জানান, ভবনটি যেভাবে জ্বলছে কয়েক মাইল দূর থেকে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।ভবনের London fire-www.jatirkhantha.com.bd000আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার ডেন ডেলি বলছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমন জটিল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

অনেক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি-বলেন তিনি। আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া কয়েকজনকে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদেরও ভবনটিতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এটাকে অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। আগুনের কারণে লন্ডন পাতাল রেলের হ্যামারস্মিথ এবং সিটি ও সার্কেল লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জর্জ ক্লার্ক নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি রেডিও ফাইভকে জানিয়েছেন আমার সারা গায়ে ছাই লেগে গেছে। আগুনটা কত ভয়াবহ হতে পারে চিন্তা করুন।

আমি প্রায় ১০০ মিটার দূরে এবং পুরোপুরি ছাইয়ে ঢেকে গেছি।এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমি দেখেছি ভবনের উপরের দিকে কেউ টর্চ জ্বালাচ্ছিল। তারা অবশ্যই বের হতে পারেনি। হয়তো তারা বেঁচে নেই।জডি মার্টিন নামে আরেকজন জানান-প্রথমে আগুন দেখার পর তিনি দৌড়ে ভবনটির কাছে যেয়ে বাসিন্দাদের বের হয়ে আসতে বলেন।

কিন্তু ভবনে আটকে থাকা লোকজন চিৎকার করে বলছিলেন তাদের বাইরে বের হবার উপায় নেই। কারণ করিডোরের ভেতরটা পুরোটা ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল সে সময়েই।