‘লক্ষ্মীবাজারে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে নাসির বাহিনী খুন করলো রাজীবকে
সূত্রাপুর প্রতিনিধি : ‘লক্ষ্মীবাজারে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে নাসির বাহিনী খুন করলো রাজীবকে।রাজীবের পরিবারের অভিযোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে খুনের জন্য স্বজনরা সূত্রাপুর থানার ৪২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাসির আর শাকিলকে দায়ী করছিলেন।
শনিবার রাজিবের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, তার স্ত্রী আশা আর্তনাদ করে কাঁদছিলেন।বলছিলেন, রাজীবকে নিয়ে যাইতাছে। আমারে ছাইড়া দাও। আমিও যামু।’ স্বামী যুবলীগ নেতা রাজিব হাসানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময় এমন করেই বিলাপ করছিলেন আশা।
রাজিবের সঙ্গে বিয়ের এখনো একবছর হয়নি।এরমধ্যেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় তার স্বামী। বারবার নিহত স্বামীকে নিয়ে এসব কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী আশা।
নিহত রাজিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ অর্থসম্পাদক বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রোকনপুর ৩ নম্বর গলিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
রাজীবের পরিবারের অভিযোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে খুনের জন্য স্বজনরা সূত্রাপুর থানার ৪২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাসির আর শাকিলকে দায়ী করছিলেন।
রাজীবের মা মার্জিয়া বেগম বলেন, লক্ষ্মীবাজারে চাঁদাবাজি করতে চেয়েছিল নাসির। কিন্তু রাজিব বাধা দেওয়ায় নাসির আর শাকিল মিলে রাজীবকে মেরে ফেলেছে।
একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রোমান বলেন, রাজীবের সঙ্গে নাসিরের অনেকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিলো। নাসির বিভিন্ন সময় রাজীবকে হুমকি দিত বলে আমাদের জানিয়েছিল। আজ আমাদের সঙ্গে রাজীবের দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই দেখা হওয়ার আগেই তাকে মেরে ফেলা হলো।
তবে রাজীবকে নাসির প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ পূর্বে পরিবারটি থেকে সূত্রাপুর থানায় জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা।
তিনি বলেন, রাজীবের খুনের বিষয়টি শোনার পর পরই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে রাজীবের পরিবার থেকে এখনো নির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আমরা হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত করছি। খুনিদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।