• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইসলামী মাহাজ’ হাশিমের ৪ খুনের দম্ভোক্তি-


প্রকাশিত: ২:২৩ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২২ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : অস্ত্র হাতে নিয়ে ফেসবুক লাইভ এসে মোহাম্মদ হাশিম (২০) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক ক্যাম্পের চার মাঝিকে (নেতা) হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। লাইভে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইসলামী মাহাজ’-এর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নিজেকে উখিয়া ১৮ নম্বর ক্যাম্পের ৯৩ ব্লকের আব্দুল জাব্বারের ছেলে বলেও দাবি করেছেন। এদিকে, ফেসবুক লাইভের ভিডিওটি নজরে এসেছে পুলিশেরও। তারা বলেছে, ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ভিডিও’র অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

ফেসবুক লাইভে চার মাঝিকে হত্যার বর্ণনা দিয়ে হাশিম বলেন, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন। যার জন্য তাদের দেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। হাশিম বলেন, তাদের মূল কাজ ছিল প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করাদের হত্যা করা। সম্প্রতি সময় ৫-৬ দিনের মধ্যে ইসলামী মাহাজ তিন মাঝিসহ এক স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছেন।

ওই লাইভে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন হাশিম। তিনি বলেছেন, ১৮ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে তারা হত্যা করেছেন।একইভাবে লাইভে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও নেন মোহাম্মদ হাশিম। তারা হলেন জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক। এই চারজন এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও জানান এই রোহিঙ্গা যুবক। মোহাম্মদ হাশিম আরও উল্লেখ করেন, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।

ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, ইসলামী মাহাজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব রকমের অপরাধ করে আসছে এবং ক্যাম্পের বড় ধরনের নাশকতা করে এই সংগঠনের সদস্যরা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ভিডিওটা তারা দেখেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে এই ভিডিও প্রকাশের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি গ্রুপ আরেকটি গ্রুপকে ফাঁসাতে এমন ভিডিও ছড়াতে পারে।