রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে জাপান
বিশেষ প্রতিনিধি : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংকটের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপান। এ সংকট সমাধানে দেশটি বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছে।বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক প্রাতঃরাশ বৈঠক শেষে জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরি এ আশ্বাস দেন।
শাহরিয়ার আলম জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন ও শরণার্থী সমস্যার টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায় বলে আইওয়াও হরিকে জানান তিনি।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরি। এর পর তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন।বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন।বাংলাদেশ সফরের আগে আইওয়াও হরি মিয়ানমার সফর করেন। সেখানে তিনি সুচির সরকার ও দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি রাখাইন রাজ্যও সফরে গেছেন।
সেখানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্প (আইডিপি ক্যাম্প) পরিদর্শন করেছেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাপান খুবই সতর্ক অবস্থানে আছে। তারা কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করলেও তেমন কিছুই বলেনি। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য জাপান ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়। একে ঘিরে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে বিতাড়ন অভিযান শুরু করে। এ অভিযানকালে সেনারা নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন শুরু করায় প্রাণ বাঁচাতে অন্তত চার লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে রাখাইনে নিহত হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করেছে।