রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু
বিশেষ প্রতিনিধি : সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে চলবে আসছে ৯ আগস্ট পর্যন্ত।তবে নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৪ জেলার ৩০টি উপজেলায় বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও ৪ কমিশনার ময়মনসিংহের টাউনহলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১১টায় ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হচ্ছে। ৯ আগস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের এ কাজ চলবে। ২০১৭ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় ৩৫ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারে।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে এবং যারা বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেননি কেবল তাদের ভোটার করা হবে। এ ধাপে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
তবে নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৪ জেলার ৩০টি উপজেলায় বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। এসব উপজেলা গুলো হচ্ছে— কক্সবাজার সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া, বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি, রাঙামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল এবং চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।
এ ছাড়া ১৯ জেলার ৬৫ উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। ২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটারদের তালিকা প্রণয়নের পর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা হালনাগাদ করা হয়। ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার নিয়ে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এবার ৯ আগস্ট তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে সংগৃহীত তথ্যাদি ২০ আগস্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে কম্পিউটার ডাটা এন্ট্রি কাজ ৩ ধাপে শুরু হবে। প্রথম ধাপে ১৮৩টি উপজেলায় ২২ দিনে, দ্বিতীয় ধাপে ২১৬টি উপজেলায় ২৮ দিনে, তৃতীয় ধাপে ১১৮টি উপজেলায় ২১ দিনে, মোট ৫১৭টি উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এটি শেষ হবে ৫ নভেম্বর। ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা যাবে।
২ জানুয়ারি হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। দাবি আপত্তি ও সংশোধনের জন্য দরখাস্ত দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি। দাবি আপত্তি ও সংশোধন নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ২২ জানুয়ারি। দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য দাখিল করা দরখাস্তের ওপর গৃহীত সিদ্ধান্ত সন্নিবেশনের শেষ তারিখ ২৭ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি।