রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সরকার
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায় নিজেদের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে স্বীকার করে নিলে দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, সরকারের এমন বিতর্কিত পরিকল্পনায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, এই শর্ত মেনে না নেওয়া রোহিঙ্গাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বিন্দশিবিরে আটকে রাখার’ কিংবা দেশ থেকে বিতাড়নের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সরকার। খবর এএফপির।
গত সোমবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মাউন লুইন জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানান। পরিকল্পনার খসড়া অনুলিপি সূত্রে এএফপি জানিয়েছে, দ্য রাখাইন স্টেট আউটলাইন প্ল্যান নামক পরিকল্পনার একটি অংশে রোহিঙ্গারা দেশের নাগরিক কি না, যাচাই করতে একটি পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে।
এ পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে। আর এর ফলে কয়েক পুরুষ ধরে মিয়ানমারে থাকা সত্ত্বেও অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা বলে ধরে নেওয়া হবে। পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, নিবন্ধন করতে রাজি না হওয়া রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী শিবিরে রাখা হবে। পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকা রোহিঙ্গাদেরও জায়গা হবে সেখানে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গার অনেকেই দেশহীন, অনেকের বসবাস রাখাইন প্রদেশে। ধর্মে তারা মুসলমান। ২০১২ সালে রাখাইনের বৌদ্ধদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয় দুই শতাধিক। এ ছাড়া উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।