• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রুপালী ব্যাংকে জামায়াত শিবিরভাবাপন্ন অফিসাররা বেপরোয়া-সিবিএ’র ওপর হামলা.মারধরের অভিযোগ


প্রকাশিত: ৮:২৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারী ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

Photo0495বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:
‘রুপালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে জামায়াত শিবির ভাবাপন্ন অফিসাররা এখন বেপরোয়া উঠেছে। এদের একটি চক্র প্রায় সময় প্রকাশ্যই সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে ব্যাংকের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ঠ করছে। এরা ২০ দলীয় জোটের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলছে দেশে এখন কোন সরকার নেই, কিসের আওয়ামী লীগ আর কিসের শ্রমিক লীগ।
কদিন অপেক্ষা কর তোদের লীগের সব কটারে মজা দেখাবো। এই ব্যাংকে কোন আ’লীগ-শ্রমিক লীগ করা চলবে না; এখানে এখন থেকে জামায়াত রাজত্ব করবে তোদের দিন শেষ’ রুপালী ব্যাংক সিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদকে রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি অবরুদ্ধ রেখে এসব কথা শোনায় ‘রুপালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের জামায়াত শিবির ভাবাপন্ন অফিসাররা।
তিনি জাতিরকন্ঠকে ফোনে জানান, রুপালী ব্যাংকের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা বিএনপি জামায়াত শিবির চক্র এখন প্রকাশ্য সরকার বিরোধী কর্মকান্ড করছে।এই ব্যাংকে জামায়াত-বিএনপি ভাবাপন্ন ব্যবসায়ীরা মোটা দাগের লোন হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরে এরা প্রকাশ্যই গোপন বৈঠক করছে।
এরাই আজ রোববার সকালে আমাদের শ্রমিক লীগের হরতাল বিরোধী সমাবেশে ব্যাংকের সামনে অবস্থানরত শ্রমীক লীগের নেতাকর্মীদের উস্কানি দেয়।
তারা বলে এখন আওয়ামী লীগ শ্রমিক লীগ আছে নাকি-এসব কথাবার্তার এক পর্যায়ে জামায়াত শিবির ভাবাপন্ন অফিসাররা রুপালী ব্যাংক সিবিএ সেক্রেটারি কাজি কাবিল আহমেদকে উত্যক্ত করে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে উত্তেজিত অফিসাররা কাবিলের ওপর চড়াও হয় এবং কাবিলের শার্টের কলার ধরে লাঠি হাতে মারতে উদ্যত হয়।উত্তেজনা বাড়তে থাকলে সিবিএ সভাপতি ব্যাংকের এমডির কার্যালয়ে যান।কিন্তু তিনি ছুটিতে থাকায় সংশ্লিষ্ঠ অফিসাররা এর কোন প্রতিকার করেননি।
এদিকে রুপালী ব্যাংক সিবিএ ও আওয়ামী শ্রমিক লীগের হরতালবিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামায়াত ভাবাপন্ন অফিসারদের মারধরের খবর  পেয়ে সেখানে যান মতিঝিল থানার পেট্রল অফিসার এস আই আবুল বাসার।
তিনি জাতিরকন্ঠকে জানান, রুপালী ব্যাংক সিবিএ ও আওয়ামী শ্রমিক লীগের হরতাল বিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র সকালে উত্তেজনা ও মারধরের খবর পেয়ে তিনি ফোর্সসহ সেখান যান ঘটনার অনেক পর বেলা ১১টায়। সেখানে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে জানান, সিবিএর হরতালবিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে সিবিএ সেক্রেটারিসহ কয়েক নেতা এবং কয়েকজন অফিসার আহত হন বলে তিনি শুনেছেন। তিনি সিবিএ নেতা ও জামায়াত ভাবাপন্ন অফিসার উভয় সংগঠনকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। অভিযোগ  পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানানো হয়েছে।
এদিকে আহত থাকার কারণে সিবিএ সেক্রেটারি   মোঃ কাবিল হোসেন কাজীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা খায়রুল হোসেন রাজু জাতিরকন্ঠকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিধায় তিনি কথা বলতে পারছেন না।
ওদিকে আমাদের মেডিকেল রিপোর্টার জানান, রাজধানীর মতিঝিলে রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন আল্লামা ইকবাল রানা, মো. ফরিদ আহমেদ, নেওয়াজ মোরশেদ, শওকত হোসেন, ইসমাইল হোসেন, শামসুল হক ইভান ও তরিকুল ইসলাম। আহত ব্যক্তিদের সবাই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার।রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার জাহিদুল ইসলামের দাবি, এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। আজ সকালে তিনিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা অফিসে ঢোকার সময় সিবিএ নেতা মোশতাক আহমেদ ও কাবিল হোসেনের নেতৃত্বে কিছু কর্মচারী বাধা দেন।  হামলাকারীরা জামায়াত-শিবির সমর্থক। তাঁদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু কর্মচারীরাও ছিলেন।রূপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি বলেন,আজ সকালে বক চত্বরে শ্রমিক লীগের হরতালবিরোধী সমাবেশে ছিল। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবব উল আলম হানিফেরও থাকার কথা ছিল। তাঁরা সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য রূপালী ব্যাংকের সামনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় প্রিন্সিপাল অফিসারদের একটি দল তাঁদের বলে, এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? কোথায় যাবেন? শ্রমিক লীগের সমাবেশে যাবেন জানালে, ওই কর্মকর্তারা বলেন কিসের শ্রমিক লীগ? আওয়ামী লীগ আছে নাকি?ওই কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে দাবি মোশতাক আহমেদের।তবে তিনি হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।