রুখিয়া দাঁড়াও-অভিজিৎ রায়ের রক্তের দাগ বিচার বিভাগের হাতেও রয়েছে-বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: সন্দেহভাজন অপরাধীর জামিন আদেশের দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, লেখক অভিজিৎ রায়ের রক্তের দাগ বিচার বিভাগের হাতেও রয়েছে। শনিবার বইমেলায় এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
বইমেলা থেকে বের হওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার রাতে টিএসসির সামনে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎকে। এবারের মেলায় বই প্রকাশ উপলক্ষে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।
শনিবার মেলায় ঘুরে ঘুরে বই কেনার সময় অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, অভিজিতের ব্যাপারে আমার কথা হচ্ছে, আমাদের সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
যারা এই ঘটনার সাসপেক্টেড খুনিকে চটজলদি বেইল দিয়েছেন, তাদের হাতেও অভিজিতের রক্তের দাগ লেগে আছে। এ ঘটনায় প্রমাণিত হয়, আমাদের পুলিশ আনইফিসিয়েন্ট।তিনি (সাসপেক্টেড খুনি) কারাগারে ছিলেন, বেইল নিয়ে বের হয়ে গেছেন। তাই বলা যায়, বিচার বিভাগের হাতেও রক্তের দাগ লেগে আছে।
অভিজিৎ রায়ের খুনিদের এখনও চিহ্নিত করা না গেলেও হামলার ধরন এবং আগের হুমকির বিষয়গুলো মাথায় রেখে জঙ্গি গোষ্ঠীকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। মুক্তমনা ব্লগ সাইটের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ তার লেখালেখি নিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকি পাচ্ছিলেন।
অভিজিতের মতোই দুই বছর আগে খুন হয়েছিলেন ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার। তার হত্যাকাণ্ডের এক আসামি হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপিল বিভাগ পরে তা স্থগিত করে।রাজীব হত্যাকাণ্ডের পর ফেইসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার উসকানি দানের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ফারাবী শফিউর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন জামিনে রয়েছেন।
প্রতিক্রিয়ায় কোনো ঘটনার উল্লেখ না করলেও জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, বিচারকদের প্রতি নিবেদন, এ সব বেইল দেওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক হবেন। না হলে এ রকম আরও অনেক ঘটনা ঘটতে পারে।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান খায়রুল হক চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান।আমি বলব, রুখিয়া দাঁড়াও। ১৯৬৪ সালে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া বলেছিলেন, রুখিয়া দাঁড়াও। আমিও সেটাই বলব।