• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

রিজেন্সির নারী বেলেল্লাপনা ও মদ নিয়ে ফূর্তির নয়া বিশ্বরেকর্ড


প্রকাশিত: ৮:৫০ পিএম, ৬ মে ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩২ বার

বিশেষ প্রতিনিধি. এস রহমান  :  হোটেল রিজেন্সির অবৈধ নারী বেলেল্লাপনা ও মদ নিয়ে ফূর্তির নতুন 4বিশ্বরেকর্ড সৃষ্ঠি হয়েছে। একই সঙ্গে সৃষ্ঠি হয়েছে সীসা বারের অবৈধ সাম্রাজ্য’র নানা চাঞ্চল্যকর কাহিনী। রিজেন্সির সীসা বারে ফতুর হয়েছে বহু নারী ও পুরুষ। রিজেন্সির বারে লাখ লাখ টাকা লুটপাট হয়েছে জুয়ার রাজত্বেও।

শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ছিল অবৈধ নারী বেলেল্লাপনা ও মদ নিয়ে ফূর্তির নতুন বিশ্বরেকর্ড সৃষ্ঠি হোটেল। একই সঙ্গে সৃষ্ঠি হয়েছে সীসা বারের অবৈধ সাম্রাজ্য ও নারী নিয়ে টানাটানির রেকর্ড। এই বারে অসংখ্য নার ও পুরুষ দম্পতির সংসার ভেঙ্গেছে।
5
অধিদফতরে মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জাতিরকন্ঠকে জানান, বিমানবন্দর রোডের খিলক্ষেতের চার তারকা হোটেল ঢাকা রিজেন্সিতে মোট তিন দিনের অভিযান চালিয়ে এসব মাদক জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন,  গোয়েন্দা তথ্যে  গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা রিজেন্সিতে শুক্ল গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা প্রথম অভিযান চালান। অভিযানে ঘোষণা ছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ ও বিয়ারের মজুদ পাওয়া যায়, যা শুল্ক গোয়েন্দারা আটক করে হোটেল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দিয়ে আসেন।
2
পরে ১ এবং ৩ মে তল্লাশি চালিয়ে হোটেলের গুদাম ও বার থেকে তাদের জিম্মায় রেখে আসা মদ ও বিয়ারের চালান জব্দ করেন গোয়েন্দারা। এ সময় হোটেলের মদের রেজিস্টার খাতাও জব্দ করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, তিন দিনের অভিযানে জব্দ করা বিদেশি মদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮১ লিটার। অভিযানে ৯১টি বিদেশি মদের বোতলও উদ্ধার হয়।
3
রেজিস্টার খাতায় দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওই হোটেলে ২৭ টন মদ ও বিয়ার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু রেজিস্টারের হিসাবে দেখা গেছে, হোটেলটি সাড়ে ৬ টন মদ ও বিয়ার বিক্রি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেজিস্টার খাতা অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২৩৭৬ লিটার হেনিকেন বিয়ার আমদানি করলেও বিক্রি করা হয় ৭২১৮ লিটার; অর্থাৎ ৪৮৪২ লিটার অবৈধভাবে সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়েছে।
1
হোটেলটি থেকে প্রায় ২২ কেজি সীসা ফ্লেভারও উদ্ধার করা হয়, যার বিপরীতে কর্তৃপক্ষ আমদানি সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। বাকি প্রায় ২১ টন মদ ও বিয়ার কোত্থেকে আনা হয়- তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।