রিজার্ভ চোর বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬ সিন্ডিকেট কড়া নজরদারিতে
এস রহমান : রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির পুর্নাঙ্গ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত ৬ গডফাদারের নাম। এদের একটি সিন্ডিকেটও রয়েছে। যাদের মাধ্যমে হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের সম্পদ ।বাংলাদেশ ব্যাংকের এই জালিয়াত চক্রটিকে ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা নজরদারি শুরু করেছেন।
এদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ফিলিপিন্স ও শ্রীলংকা দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল ভুয়া বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে। বার্তা পাঠানোর সঙ্গে এই ৬ চোর সিন্ডিকেট জড়িত ছিল ঘটনার আগে ও পরে।
সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির বিষয়ে ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্তকারী দলের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ছয়জনের নাম এসেছে।
এরা হলেন, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, জিএম আব্দুল্লাহ ছালেহীন, শেখ রিয়াজউদ্দিন ও রফিক আহমেদ মজুমদার, গভর্নর সচিবালয় বিভাগে কর্মরত মইনুল ইসলাম।
এদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবহেলার কারণে সার্ভার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে কিম্বা তারা হ্যাকারদের সহায়তা করেছেন এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। গভর্নর সচিবালয় বিভাগে কর্মরত মইনুল ইসলাম এবং অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের শেখ রিয়াজউদ্দিন তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ‘কমপ্রোমাইজড’ হয়েছে কিম্বা ব্যবহার হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় জুবায়ের বিন হুদা ও জি এম আব্দুল্লাহ ছালেহীনের ইউজার আইডির পাওয়ার্ড চুরি করে তা ব্যবহার করেছে হ্যাকাররা। এমন কি এরাই আগে জানতে পারে তাদের পাওয়ার্ড চুরি হয়েছে। কিন্তু তারা সেটা আমলে নেয়নি। এতে তারা দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করেছেন। কান্ডাজ্ঞানহীনের মত কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেছে তদন্তকারী দল।