রিজার্ভ চোর ধরতে দেড় হাজার ল্যাপটপ তল্লাশি
সাইফুল বারী মাসুম : তদন্তের স্বার্থেই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার ল্যাপটপ জমা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের একথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক ও মুকপাত্র শুভংকর সাহা।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কাজের জন্য ল্যাপটপগুলো জমা নিচ্ছে সিআইডি।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য আগের গভর্নরের সময় থেকে কাজ করা হচ্ছে। এটি সাইবার, ব্যাংকের আইটি সিকিউরিটি নিচ্ছিদ্র করার প্রয়াস চলছে। তাই ল্যাপটপগুলো জমা নেওয়া হচ্ছে। এটি তদন্তেরই অংশ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটে যাওয়া ঘটনায় তিনটি তদন্ত দল কাজ করছে। একটি হচ্ছে সরকারের করে দেওয়া ড. ফরাসউদ্দিনের তদন্ত দল, সিআইডির তদন্ত দল ও আমাদের(বাংলাদেশ ব্যাংকের) অভ্যন্তরীণ তদন্ত দল। যেটি ফরেনসিক টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা কিভাবে কাজ করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এ মুখপাত্র বলেন, সাময়িক একটু অসুবিধা তো হবেই। তদন্তের স্বার্থে ডেক্সটপ চেক করা হয়েছে, পাশাপাশি ল্যাপটপগুলোও চেক করা হবে। অনেক সময় ল্যাপটপগুলো অফিসের পাশাপাশি কর্মকর্তারা বাইরেও যেখানে কাজ করেন-সেখানে ও বাসায় নিয়ে যান। আমাদের যে সাইবার অ্যাটাকটি হয়েছে এতে ল্যাপটপে কোনো ঝুঁকি রয়েছে কি না এবং এগুলোতে পরবর্তীতে ব্যবহারে কোনো অসুবিধা রয়েছে কি না সে বিষয়টি জানার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিসের ল্যাপটপগুলোই পরীক্ষা করা হবে। এতে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে সেটি মোকাবেলায় কোনো সফটওয়্যার বসানোর প্রয়োজন আছে কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।
ফিলিপাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো তথ্য আদান-প্রদান করছে কি না এবং করে থাকলে সেটা কিভাবে করা হচ্ছে জানতে চাইলে শুভংকর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তাদের এন্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ চুরির সঙ্গে জড়িতদের বের করতে ও চুরির টাকা আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমাদের একটি এমওইউ চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। এতে তারা আমাদের কাছে কোনো তথ্য চাইলে সেটার যেটুকু দেয়া সম্ভব তা দিচ্ছি। তাদের কাছেও আমরা কিছু চাইলে তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করছে।
ফিলিপাইনের সিনেটে আজ শুনানি হয়েছে উল্লেখ করে শুভংকর বলেন, দায়ী ব্যাংক ও আভিযোগকারীদের চিহ্নিত করার কাজ করছে ফিলিপাইন ও শ্রীলংকা। যারা টাকা নিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে এবং টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি। শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনে ৩৫টি মিস ইন্সট্রাকশনে টাকাগুলো চলে গেছে। টাকা চুরির বেনিফিশিয়ারিদের ধরার বিষয়ে ফিলিপাইন বিশেষভাবে কাজ করছে।