রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন নিয়ে গরিমসি!
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় ১৮ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
বুধবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি । এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ আগামী ২৯ নভেম্বর ধার্য করেছেন।
গত বছরের ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় সময় নিয়েছে পুলিশ। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়।
ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ক্যাসিনোয় এই টাকার একাংশ খরচ হয়ে যায়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।ফিলিপাইনে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশে ফেরত এসেছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ফিলিপাইনের পাচারের সময় শ্রীলঙ্কাতেও দুই কোটি ডলার পাচার হয়েছিল। তবে ব্যাংক থেকে সে টাকা সরিয়ে নেয়ার আগেই ধরা পড়ে যায় এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধায়ায় ওই মামলা দায়ের করা হয়।