রায় ফাঁস করে ধরা খাচ্ছে- যুদ্ধপরাধী সাকার স্ত্রী-ছেলে
সাইফুল বারী মাসুম : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) স্ত্রী-ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় আজ সোমবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
এর আগে আদালত মামলা থেকে আসামিপক্ষের অব্যাহতির জন্য করা আবেদন নাকচ করে দেন। আগামী ২৮ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
এই মামলার আসামিরা হলেন সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকার আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী, সাকার ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান ও আইনজীবী মেহেদী হাসান।
এর মধ্যে মেহেদী হাসান পলাতক আছেন। আইনজীবী ফখরুল ইসলাম, সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে জামিনে আছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন। আজ তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট সাকার স্ত্রী, ছেলে ও আইনজীবীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।